খাওয়া আগে, না ব্যায়াম আগে

স্ত্রী মান্যতা দত্তের সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত। ছবি: সঞ্জয় দত্তের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে
স্ত্রী মান্যতা দত্তের সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত। ছবি: সঞ্জয় দত্তের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে

: দাদু, মানুষকে মেরে ফেলা তো ভালো না, তাই না?
: হ্যাঁ, খুব খারাপ।
: তাহলে রাবণকে রাম কেন মেরে ফেলল?
: কারণ রাবণ তো ভালো না।
: কিন্তু কাউকে মেরে ফেলাও তো ভালো না!

এই ছিল ‘প্রস্থানাম’ ছবির ট্রেলারের প্রথম বাক্যালাপ। এখন পর্যন্ত দেড় কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে এই ট্রেলার। আর মাত্র চার দিন। তারপর ২০ সেপ্টেম্বর। আর সেদিনই মুক্তি পাবে সঞ্জয় দত্ত, মনীষা কৈরালা, জ্যাকি শ্রফ, চাঙ্কি পান্ডে, আলী ফজল, সত্যজিৎ দুবে অভিনীত ‘প্রস্থানাম’। তাই এই ছবির পুরো দল এখন সব সময় চিন্তা আর শব্দ ব্যয় করছে কেবল ছবির প্রচারণার জন্য।

৬০ বছর বয়সী সঞ্জয় দত্ত যেন জ্বলে উঠেছেন এই ছবিতে। তাই ‘বলিউড হাঙ্গামা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় তাঁর এই ফিটনেসের রহস্য। সঞ্জয় দত্তও হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন। তবে উত্তর দুটি খুবই সহজ। খাওয়া আর ব্যায়াম। খাওয়া আগে, না ব্যায়াম আগে? এই প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘দুটিই আগে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হলে ফিটনেসের বিকল্প নেই। আর যাঁরা ফিট, তাঁদের প্রিয় জায়গার নাম জিম। হতেই হবে। আর আমি তো সেদ্ধ খাবার খেয়েছি। প্রতিদিন তিন বেলার খাওয়া ছয় বেলায় খেয়েছি।’

তাহলে বুঝেছেন তো। ‘বাবা’র মতো ফিট থাকতে হলে কী করতে হবে। এখানে তাঁর চরিত্র একজন রাজনীতিবিদের। মনীষা কৈরালা তাঁর স্ত্রী আর আলী ফজল তাঁদের ছেলে। আর সিনেমার সব কাহিনি ঘটেছে লক্ষ্ণৌতে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী মান্যতা দত্ত। আর ছবির পরিচালক দেবা কাট্টা। এই ছবিটি তেলেগু ‘প্রস্থানাম’ ছবির রিমেক। সেই ছবিটিও তিনিই পরিচালনা করেছেন।

ছবির প্রচারণার জন্য বলিউড হাঙ্গামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মনীষা কৈরালা আর জ্যাকি শ্রফ। তাঁরা বললেন নানা গল্প। তবে সেখানে ‘প্রস্থানাম’ ছবির কথা কম। মনীষা কৈরালার বলিউড যাত্রার সেই শুরু থেকেই ছিলেন জ্যাকি শ্রফ। ১৯৯১ সালের ‘সওদাগর’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন নেপালের মেয়েটি। এই ছবিতে জ্যাকি শ্রফ ছিলেন তাঁর শ্বশুর। ধীরে ধীরে সেই শ্বশুর বন্ধু হলেন। আর এখন তো কোনো ছবিতে জ্যাকি শ্রফ থাকলে নাকি মনীষার ‘হ্যাঁ’ বলতে সুবিধা হয়।

আর জ্যাকি শ্রফ তো মনীষা কৈরালাকে বললেন, ‘মাই বস।’ তা শুনে মনীষা কৈরালা তো হেসেই খুন। উল্টো জ্যাকি শ্রফকেই নিজের বস বললেন। মনীষা সম্পর্কে জ্যাকি শ্রফ বললেন, ‘রংধনুর সব রং নিয়ে পাহাড় থেকে আসা বিশুদ্ধ বাতাস।’

‘বলিউড হাঙ্গামা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনীষা কৈরালা ও জ্যাকি শ্রফ। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
‘বলিউড হাঙ্গামা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনীষা কৈরালা ও জ্যাকি শ্রফ। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে

জ্যাকি শ্রফের ছেলে টাইগার শ্রফও একের পর এক ছবি দিয়ে নিজেকে ‘হিরো’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছেন। বাবার কাছে জানতে চাওয়া হলো, ছেলে এত বড় তারকা আবার অত্যন্ত বিনয়ী, কীভাবে? জ্যাকি শ্রফ তাঁর ছেলের বিনয়ের কৃতিত্ব দিলেন মা শিউলি শ্রফকে। বললেন, তিনি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ছেলেকে অন্য বাবাদের মতো সেভাবে সময় দিতে পারেননি। মায়ের কাছ থেকেই তাঁর সব শেখা।

কিছুদিন আগে হৃতিক রোশন তাঁর ‘সুপার থার্টি’ ছবির প্রচারণার জন্য বলিউড হাঙ্গামায় এসেছিলেন। তখন ‘ওয়ার’ ছবির সহশিল্পী টাইগার শ্রফের বাবা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘কিং আঙ্কেল’ ছবির পার্টিতে জ্যাকি শ্রফকে তিনি রান্নাঘরে রাঁধুনি আর খাবার পরিবেশকদের সঙ্গে বসে গল্প করতে দেখে অবাক হন।

তাই শুনে জ্যাকি শ্রফ বললেন, ‘হ্যাঁ, ওর বাবা রাকেশ রোশনের ছবি ছিল “কিং আঙ্কেল”। ছবির সেটে ও ডায়ালগ এনে দিত। আর বুঝিয়ে দিত। কীভাবে বলব, শিখিয়ে দিত। তখন ও একদম ছোট ছিল। আর পার্টির ঘটনায় অবাক হওয়ার তো কিছু নেই। আমি এখনো ও রকমই আছি। কেবল এতগুলো ক্যামেরার সামনে এখন একটু টাইট হয়ে বসে আছি।’