মঞ্চ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি: বাবু

তবিবুল ইসলাম বাবু। ছবি : প্রথম আলো
তবিবুল ইসলাম বাবু। ছবি : প্রথম আলো

দীর্ঘ সময় মঞ্চে কাজ করেছেন তিনি। আজ ৭৫ বছর শেষ করলেন তবিবুল ইসলাম বাবু। জন্মদিন সামনে রেখে নাটক নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বললেন নাট্যজন দলের এই সভাপতি ও মঞ্চকর্মী।

কেমন কাটল আপনার মঞ্চজীবন?

অনেক কিছু পেয়েছি। অনেক ভালোবাসা, পরিচিতি আর সম্মান।

কোনো আফসোস আছে?

আছে। খেলায় স্পন্সর পাওয়া যায়, টিভি নাটকে কিছুই হচ্ছে না, তারাও স্পন্সর পায়। কিন্তু মঞ্চনাটকে পাওয়া যায় না। আরেকটা আফসোস হচ্ছে, কলকাতায় পাড়ায় পাড়ায় মঞ্চ। আর আমাদের কেবল শিল্পকলা একাডেমির তিনখানা মঞ্চ।

স্পন্সর না পাওয়ার কিছু কারণ নিশ্চয়ই আছে। আপনি কী মনে করেন?
সারা পৃথিবীতে মঞ্চনাটক মানে সাউন্ড–আলো–অভিনয়ের কত রকম খেলা, পরীক্ষা–নিরীক্ষা। আর আমাদের? প্রসেনিয়াম থিয়েটার দেখতে দেখতে আমাদের দর্শকদের এক রকম একঘেয়েমি চলে এসেছে। যানজট, বাড়ির কাছে মঞ্চ না থাকায় লোকে খুব বেশি নাটক দেখে না।

আপনার তুলনায় তরুণ ও তরুণতর কজন অভিনয়শিল্পীর নাম বলুন, যাঁদের অভিনয় আপনার ভালো লেগেছে।
ফেরদৌসী মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, ফজলুর রহমান বাবু, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী।

অনেক অর্জন আপনার। মনে করে দেখুন তো, কোনটা আপনাকে সবচেয়ে আনন্দ দেয়।
মঞ্চের জন্য নাটক চাইতে হুমায়ূন আহমেদের বাসায় গিয়েছিলাম। সঙ্গে নিয়েছিলাম একমুঠো কলম। এক সপ্তাহ পর তিনি পাণ্ডুলিপি দিয়েছিলেন। যেদিন মঞ্চস্থ হলো, নাটকটি বই আকারে ছেপে নিজে নিয়ে এসেছিলেন মহিলা সমিতিতে। ভীষণ খুশি হয়েছিলেন।

মঞ্চে আপনাদের সময় আর এখনকার সময় পার্থক্য করবেন কীভাবে?
টানা ২৫ বছর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করেও অভিনয় করেছি। এখন পারে না কেন? এখনকার ছেলেমেয়েরা নাটক না, টিভি সিরিয়াল করতে চায়, সেখান থেকে পয়সা পায় বলে। মঞ্চে পয়সা নেই। আবার টিভিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য মঞ্চে কাজ করতে চায়, কোনো প্রশিক্ষণ বা নিবেদনের বালাই নেই।