এবার কোটিপতি 'খিচুড়ি আন্টি'

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে এক কোটি রুপি জেতার পর ববিতা তাড়ে। ছবি: সনির টুইটার পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে এক কোটি রুপি জেতার পর ববিতা তাড়ে। ছবি: সনির টুইটার পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে

ভারতের মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলার স্থানীয় এক সরকারি স্কুলের কর্মচারী ববিতা তাড়ে। স্কুলের ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য তিনি দুপুরের খাবার তৈরি করেন। এলাকায় তিনি ‘খিচুড়ি’ বিশেষজ্ঞ নামে বেশি পরিচিত। আর স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে ডাকে ‘কাকু’। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন জানতে চান, এই ‘কাকু’ শব্দের অর্থ কী? ববিতা তাড়ে বললেন, ‘আন্টি।’ সেই স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীর কাছে তিনি ‘খিচুড়ি আন্টি’। আরও জানালেন, তাঁর বেতন ১ হাজার ৫০০ রুপি। এই খিচুড়ি তৈরি করতে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগে। আর স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য এই খিচুড়ি তৈরির কাজ তিনি খুব উপভোগ করেন। ২০০২ সালে থেকে তিনি এই কাজ করছেন।

জানা গেছে, সবার কাছে ‘খিচুড়ি আন্টি’ নামে পরিচিত ববিতা তাড়ে এবার ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে এক কোটি রুপি জিতেছেন। তবে ১ কোটি রুপি জেতার পরে তিনি নাকি ৭ কোটি রুপি জেতার জন্যও খেলেছেন। যদি তিনি ৭ কোটি রুপির প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে না পারেন, তাহলে সোজা ৩ লাখ ২০ হাজার রুপিতে নেমে যেতে হবে তাঁকে। ওই সময় যদি তিনি ৭ কোটি রুপির প্রশ্নের জবাব না দেন, তাহলে তিনি পেয়ে যাবেন এক কোটি রুপি। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে, তা জানা যাবে অনুষ্ঠানটি দেখার পর।

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন চ্যানেলে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অনুষ্ঠানটির একাদশ সিজন। গতকাল সোমবার এই টিভি চ্যানেলের টুইটার পেজে অনুষ্ঠানটির আগামী পর্বের প্রমো দেওয়া হয়েছে। তা থেকেই জানা গেছে তথ্যগুলো। ববিতা তাড়ের পর্বটি প্রচারিত হবে আগামীকাল বুধবার ও পরশু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায়।

ববিতা তাড়ের কাছে অমিতাভ বচ্চন জানতে চান, এই অনুষ্ঠান থেকে ববিতা তাড়ে যদি ভালো পরিমাণ অর্থ জেতেন, তাহলে প্রথম কোন জিনিসটি তিনি কিনতে চান? ববিতা তাড়ে বলেন, ‘নিজের জন্য একটা মোবাইল সেট। কারণ এখন আমাদের পুরো পরিবারে একটি মাত্র মোবাইল সেট আছে।’ শুনে অভিভূত হন অমিতাভ বচ্চন। তখনই ববিতা তাড়ের হাতে তিনি নতুন একটি মোবাইল সেট তুলে দেন।

গত শুক্রবার রাতে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানের একাদশ সিজনের প্রথম ‘কোটিপতি’ হয়েছেন বিহারের জেহানাবাদের বাসিন্দা সনোজ রাজ। তিনি আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) অফিসার হতে চান। আর সে জন্য ইউপিএসসি (ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।