'সোলায়মান প্রণোদনা' পাচ্ছেন গাইবান্ধার জুলফিকার

এ বছর ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা-২০১৯’ পাচ্ছেন গাইবান্ধা সারথি থিয়েটারের সংগঠক, নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, জুলফিকার চঞ্চল। ছবি: ফেসবুক থেকে
এ বছর ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা-২০১৯’ পাচ্ছেন গাইবান্ধা সারথি থিয়েটারের সংগঠক, নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, জুলফিকার চঞ্চল। ছবি: ফেসবুক থেকে

এ বছর ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা-২০১৯’ পাচ্ছেন গাইবান্ধা সারথি থিয়েটারের সংগঠক, নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা জুলফিকার চঞ্চল । প্রয়াত নাট্যজন এস এম সোলায়মান স্মরণে ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর একজন তরুণ মেধাবী নাট্যশিল্পী অথবা নাট্যসংগঠনকে এই প্রণোদনা দিয়ে আসছে নাটকের দল থিয়েটার আর্ট ইউনিট।

২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেইলি রোডখ্যাত নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে এস এম সোলায়মান প্রণোদনা ও স্মারক বক্তৃতা শীর্ষক দুই দিনের অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চস্থ হবে ‘কোর্ট মার্শাল’।

শনিবার একই সময়ে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান হবে শিল্পীকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন কবি কামাল চৌধুরী। স্মারক বক্তৃতা দেবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাট্যগবেষক দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। থিয়েটার আর্টের দলপ্রধান রোকেয়া রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা করবেন ঠান্ডু রায়হান।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের কোর্ট মার্শাল।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের কোর্ট মার্শাল।

এস এম সোলায়মান প্রণোদনা-২০১৯ ঘোষণা হওয়ার পর জুলফিকার চঞ্চল বলেন, ‘এই প্রণোদনায় আমি ও আমার সংগঠন আনন্দিত। এটি আমাদের পাথেয়। আমরা গাইবান্ধার দারিয়াপুরে যে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরির চেষ্টা করছি, সে প্রচেষ্টায় প্রেরণা জোগাবে। এস এম সোলায়মান প্রণোদনা গ্রামে কাজ করা আমাকে এবং আমার সংগঠনকে সারা দেশে বিশেষ খ্যাতি এনে দিল।’

প্রয়াত এস এম সোলায়মান স্মরণে ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর একজন তরুণ মেধাবী নাট্যশিল্পী অথবা নাট্যসংগঠনকে প্রণোদনা দিয়ে আসছে নাটকের দল থিয়েটার আর্ট ইউনিট। এর আগে এস এম সোলায়মান প্রণোদনা গ্রহণ করেছেন- আমিনুর রহমান, সাইদুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, আনোয়ারুল হক, কাজী তৌফিকুল ইসলাম, ত্রপা মজুমদার, সুদীপ চক্রবর্তী, সামিনা লুৎফা, রামিজ রাজু, বাকার বকুল এবং পাবনা চাটমোহরের সমন্বয় থিয়েটার ও মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের মণিপুরি থিয়েটার, হবিগঞ্জের প্রতীক থিয়েটার।

এস এম সোলায়মান ১৯৫৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে সোলায়মান নাট্যচর্চায় যুক্ত হন এবং বাংলাদেশের নবনাট্য আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের দুই দফা সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। কালান্তর, পদাতিক নাট্য সংসদ, ঢাকা পদাতিক, অন্যদল ও থিয়েটার আর্ট ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। ৩০টির বেশি নাটক রচনা, রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব। ২০০১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে এস এম সোলায়মান মৃত্যুবরণ করেন। নাট্যকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) পান তিনি।