৩৭তম জন্মদিনে রণবীরের অজানা ৩৭

রণবীর কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
রণবীর কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

৩৭ বছর আগে আজকের দিনে জন্মেছিলেন রণবীর কাপুর। বাবা ঋষি কাপুর সম্প্রতি ক্যানসারের চিকিৎসা করে ১১ মাস ১১ দিন পর মুম্বাই ফিরেছেন। আর পেয়ে গেছেন মনের মতো একজন প্রেমিকা। সব মিলিয়ে রণবীর কাপুরের এবারের জন্মদিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

জন্মদিনের প্রথম প্রহরে ছিল রণবীর কাপুরের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টের নিজ ফ্ল্যাটে পার্টি। আর সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তারকা, সংগীতশিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজক। আর ছিলেন প্রেমিকা আলিয়া ভাট। যদিও পাপারাজ্জিরা তাঁকে ঢুকতে দেখেনি। পাপারাজ্জিদের চোখ ও ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দেওয়া এত সহজ! তবে কি পাপারাজ্জিরা পৌঁছানোর আগেই আলিয়া পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে?

সে যা-ই হোক। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ থেকে জানা গেছে, রণবীর কাপুরের ৩৭তম জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে অজানা ৩৭টি তথ্য—

১. রণবীর সিং নয়, ‘ব্যান্ড বাজা বরাত’ ছবির জন্য নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিল রণবীর কাপুর।

২. রণবীরের প্রিয় রং কালো, সাদা আর লাল।

৩. রণবীর নাকি ‘জাতীয় ক্রাশ’। কিন্তু ছোটবেলায় রণবীরের ক্রাশ কে ছিলেন? রণবীর যখন কিশোর, তখন অবন্তিকা মালিকের প্রেমে পাগল ছিলেন। পরে এই অবন্তিকা মালিক আরেক বলিউড তারকা ইমরান খানকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির একটা কন্যাসন্তান আছে।

৪. রণবীর কাপুর তো জীবনে কম প্রেম করেননি। আর ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে এসে স্বীকার করেছেন, তিনি অসংখ্যবার মাতাল হয়ে পুরোনো প্রেমিকাকে ফোন করেছেন। যাকে বলে ‘ড্রাংক ডায়াল অ্যান এক্স’।

৫. মা–বাবার সঙ্গে প্রথমবার কাজ করেছেন ‘বেশরম’ (২০১৩) ছবিতে। কিন্তু এর আগে বাবা ঋষি কাপুর পরিচালিত ‘আ আব লৌট চলে’ ছবির সেটে তিনি সহকারী পরিচালকের কাজ করেছেন।

৬. মায়ের হাতের তিনটি খাবার খুবই ভালোবাসেন রণবীর। ঢ্যাঁড়স, জঙ্গলি মাটন আর পায়া।

৭. ব্যক্তি রণবীর খুবই লাজুক। জিকিউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অন্য মায়ের মতো আমার মাও চাইত, আমি যেন ডাক্তার হই। কিন্তু আবার ভাবত, এত চুপচাপ একটা ছেলে কীভাবে ডাক্তার হবে। আমার মনে হয়, অভিনেতা হয়ে আমি অন্য চরিত্রের ভেতর নিজেকে আড়াল করতে পারি। ফলে ব্যক্তি আমিকে লুকিয়ে ফেলা সহজ হয়।’

৮. রণবীর মনে করেন, ‘৮’ সংখ্যাটি তাঁর জন্য খুবই লাকি।

৯. রণবীর স্কুলে যাওয়ার পথে লাল রঙের ডাকবাক্সকে খুবই ভাগ্যবান মনে করতেন। সেই লাল বাক্সের দিকে তাকিয়ে ‘ইচ্ছা পোষণ’ করতেন। আর তিনটি কালো গাড়ি খুঁজতেন। ভাবতেন, যদি একটা লাল বাক্স দেখার পর তিনটি কালো গাড়ি দেখেন, তাহলেই তাঁর ইচ্ছা পূরণ হবে।

১০. রণবীরের প্রিয় তারকা আল পাচিনো আর অমিতাভ বচ্চন।

১১. রণবীরের প্রিয় ছবি ‘রাহু চক্কর’। এই ছবিতেই তাঁর বাবা ঋষি কাপুর আর মা নীতু কাপুর জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন।

১২. রণবীরের স্পিড ডায়ালে কে? মা নিতু কাপুর।

১৩. একটু অবসর মিললেই রণবীর ফুটবল খেলা দেখতে বসেন। তিনি বার্সেলোনার সমর্থক। আর লিওনেল মেসির অন্ধ ভক্ত। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ‘মুম্বাই সিটি এফসি’ নামের ফুটবল দলের মালিকও তিনি।

১৪. রণবীর দীর্ঘসময় ধরে জ্যাজ এবং ব্যালে নাচ শিখেছেন। ঘোড়ায় চড়ার ওপর রয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।

১৫. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়, রণবীরের ক্রাশ, ক্যান্ডি ক্রাশ!

১৬. প্রথম পারিশ্রমিক দিয়ে রণবীর নিজেকে একটা দামি ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন।

১৭. রণবীর লি স্ট্রাসবার্গ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে তিনি পড়াশোনার পাট চুকিয়েছেন। আর এখান থেকেই অভিনয় শিখেছেন তাঁর আইডল আল পাচিনো।

১৮. রণবীরের আরও দুটি প্রিয় ছবি হলো রাজ কাপুরের ‘শ্রী ৪২০’, ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ ও ‘থ্রি ইডিয়টস’। টিভি সিরিজ ভালোবাসেন রণবীর। সেই সঙ্গে ভ্রমণে না নেই তাঁর।

১৯. ঘুরতে যাওয়ার জন্য রণবীরের প্রিয় জায়গা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং ইতালির ভেনিস ও পুলিয়া।

২০. কাপুর বংশে রণবীরই প্রথম পুরুষ, যিনি দশম শ্রেণির চৌকাঠ মাড়িয়ে কলেজে পা রেখেছেন।

২১. প্রথম দিকে অভিনয় শেখার জন্য রণবীর কাপুর গুরু দত্ত ও মেহবুব খানের সিনেমা দেখতেন।

২২. রণবীর আত্মজীবনী পড়তে খুবই ভালোবাসেন। কার্ট করবিনের জীবনী ‘হেভিয়ার দ্যান হেভেন’ তাঁর প্রিয় বই।

২৩. শাহরুখ খান, হৃতিক রোশন ও সঞ্জয় দত্তর ‘মিমিক্রি’ করতে দারুণ ওস্তাদ রণবীর কাপুর।

২৪. রণবীর নাসাল ডেভিয়েটেড সেপটামে আক্রান্ত। ফলে তিনি দ্রুত খান আর দ্রুতগতিতে হাঁটেন।

২৫. ‘ওয়েক আপ সিড’ ছবিতে রণবীর যত ছোট প্যান্ট পরেছেন, সব তাঁর নিজের।

২৬. দীপিকা পাড়ুকোনই তাঁর তৎকালীন প্রেমিক রণবীরকে ২০০৮ সালে ক্যাটরিনা কাইফের পার্টিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই রণবীর আর ক্যাটের প্রথম দেখা।

২৭. ১৯৯৬ সালের ‘প্রেম গ্রন্থ’ ছবিতে প্রথম রণবীর সহকারী পরিচালকের কাজ করেন। সেই ছবিতে নায়ক ছিলেন তাঁর বাবা।

২৮. রণবীর আগে থেকেই তবলা বাজাতে পারতেন। আর ‘রকস্টার’ ছবির জন্য তিনি গিটার বাজানো শেখেন।

২৯. রণবীরের পুরো নাম রণবীর রাজ কাপুর। ‘রাজ’ নামটা তাঁর দাদার থেকে নেওয়া।

৩০. রণবীর কাপুর তাঁর দাদিকে খুব ভালোবাসতেন। প্রতি রোববার তিনি দাদির সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। আর দাদিও ওই দিন মজার মজার সব খাবার রান্না করতেন।

৩১. রণবীর তাঁর মা–বাবার কাছ থেকে ‘বাবা’ ডাকটি শুনতে চান।

৩২. যত দিন মা–বাবার সঙ্গে ছিলেন, নীতু কাপুরই ছেলের নখ কেটে দিতেন।

৩৩. রণবীর বলিউড তারকা হওয়ার পরও মায়ের কাছ থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ রুপি পকেট মানি নিতেন।

৩৪. মাঝেমধ্যেই রণবীর দুই পায়ে দুই রঙের মোজা পরেন।

৩৫. রণবীরের ধারণা, তিনি যদি গাইতে পারতেন, তাহলে আরও ভালো অভিনয় করতে পারতেন।

৩৬. রণবীর আর দীপিকা পাড়ুকোনের দেখা হয় তাঁদের কমন মেকআপ আর্টিস্টের মাধ্যমে। ভারত ও ডরিস। এই দুজন তখন রণবীর আর দীপিকার প্রথম ছবি ‘ওম শান্তি ওম’ ও ‘সাওয়ারিয়া’র মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছিলেন।

৩৭. বলিউডে রণবীরের প্রিয় নারী অভিনয়শিল্পী মাধুরী দীক্ষিত আর কাজল।