জ্বলেই নিভে গেছেন ব্রিটনি

ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: রয়টার্স
ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: রয়টার্স

অনেক দিন ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মার্কিন জনপ্রিয় পপ তারকা ও হলিউডের নায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সকে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে তিনি না আছেন স্টেজে, না আছেন ইনস্টাগ্রামে। এবার নীরবতা ভেঙে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন, ‘কেউ আমাকে ভুলে গেছেন?’

দীর্ঘদিন ধরেই বাবার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ব্রিটনির। তা নিয়ে চলেছে আইনি লড়াই। ব্রিটনির দাবি একটাই, তাঁর আইনি অভিভাবকের ঘর থেকে বাবার নামটা মুছে ফেলা। আর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কও নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে মিডিয়া থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন।

ইনস্টাগ্রামে ২৭ সেপ্টেম্বর এই মার্কিন সংগীতজগতের জ্বলজ্বলে তারকা ভক্তদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই সবাই আমাকে ভুলে যায়নি। কেউ কেউ মনে রেখেছে। আমি আসলে সবকিছু থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছি। আমি আসলে কী চাই, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।’

৩৭ বছর বয়সী এই তারকা আরও জানান, মাত্র আট বছর বয়স থেকে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। অনেক কাজ করেছেন। নতুন করে জ্বলে ওঠার জন্য এই বিরতি নেওয়া তাঁর খুব জরুরি ছিল।

অসংখ্য ভক্ত এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের একই কথা, কবে চেনারূপে ফিরবেন তিনি। সেখানে ব্রিটনির বর্তমান প্রেমিক স্যাম আসগারি লিখেছেন, ‘তোমাকে অনেক শ্রদ্ধা।’

ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: এএফপি
ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: এএফপি

এই গায়িকা ও অভিনয়শিল্পীর দীর্ঘদিনের ম্যানেজার ল্যারি রুডলফ এর আগে আশঙ্কা করেছেন, হয়তো আর পারফর্ম করতে দেখা যাবে না ব্রিটনিকে। কিন্তু গত মে মাসেই সেসব আশঙ্কা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেন ব্রিটনি। জানিয়েছেন, গাইবেন তিনি, নাচবেন তিনি।

ব্রিটনি তাঁর বাবার অসুস্থতার পর লাস ভেগাসের আবাসিক চুক্তি বাতিল করেছেন। বাবার চিকিৎসার সময় টানা ৩০ দিন তিনি নিজেও মানসিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তাঁর বাবা জেমি স্পিয়ার্স নাকি বাধ্য করেছিলেন ব্রিটনিকে মানসিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে। কিন্তু কেন? তবে কি এই তারকা মানসিক ভারসাম্যহীন? আদলতে ব্রিটনি জানিয়েছেন, বাবা নাকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাঁকে মানসিক রোগের ওষুধ খেতে বাধ্য করেছেন।

কিছুদিন ধরেই ব্রিটনির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। আবার অন্যদিকে ব্রিটনির বাবার বাড়াবাড়িও পছন্দ করছেন না এই তারকার ভক্ত ও অনুসারীরা। তাঁরা জেমি স্পিয়ার্সের অযথা কড়াকড়ির যবনিকা টানতে চান, চান অভিভাবকত্বের সমাপ্তি। অনেকে আবার এই ‘প্রিন্সেস অব পপ’-এর মন আর অর্থ-সম্পদের ওপর তাঁর নিজের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে ‘#ফ্রিব্রিটনি’ আন্দোলন শুরু করেছেন।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: রয়টার্স
ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: রয়টার্স

ই টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ব্রিটনির ধারণা, তাঁর বাবা তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করে তাঁর অর্থ-সম্পত্তির মালিক হতে চান!

২০০৪ সালে শৈশবের বন্ধু জেসন আলেকজান্ডারকে বিয়ে করে মাত্র ৫৫ ঘণ্টা পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটে হইচই ফেলে দেন মার্কিন পপ গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। পরে মার্কিন নৃত্যশিল্পী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে তিন বছর ঘর-সংসার করেন তিনি। ২০০৭ সালে বিচ্ছেদের পর আর বিয়ের পথ না মাড়ালেও এবার শোনা যাচ্ছে, গোপনে আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড লুকাডোর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ৩২ বছর বয়সী এ গায়িকা, নায়িকা, নৃত্যশিল্পী ও ফ্যাশন ডিজাইনার। বিয়ের গুঞ্জন শোনা গেলেও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর এখন তো ডেভিড লুকাডোও অতীত। ব্রিটনি স্পিয়ার্স এখন যাঁর সঙ্গে আছেন, তাঁর নাম স্যাম আসগরি। তাঁর সঙ্গেই ব্রিটনিকে সর্বশেষ দেখা গেছে গত মে মাসে, এক শপিংমলে।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স সর্বশেষ পারফর্ম করেছেন ২০১৮ সালে, ‘পিস অব মি’ ট্যুরে। যদিও ২০১৯ সালে ডেটাইম বিউটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের লাল গালিচায় এক ঝলকের জন্য দেখা দিয়েছেন তিনি।