পূজামণ্ডপে সেই 'কাভি খুশি কাভি গম' ছবির শিল্পীরা
ভারতের সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ যেন সেই ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছবির শিল্পীদের পুনর্মিলনী। শুধু নেই ‘যুগ’ শাহরুখ খান। গতকাল রোববার বিকেলে দুর্গাপূজার মহাষ্টমীতে মুম্বাইয়ের নর্থ বোম্বে সর্বজনীন পূজায় ঠিক তেমনই হয়েছে। ‘মুখার্জিবাড়ির দুর্গাপূজা’ নামে বেশি পরিচিত এই পূজামণ্ডপে স্ত্রী জয়া বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল আসেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তার আগেই সেখানে পৌঁছে যান দুই চাচাতো বোন কাজল আর রানী মুখার্জি। এ সময় আরও ছিলেন তাঁদের চাচা দেব মুখার্জি, চাচাতো ভাই অয়ন মুখার্জি ও চাচাতো বোন শর্বাণী মুখার্জি।
গতকাল মহাষ্টমীর দিন পূজামণ্ডপে অমিতাভ বচ্চন আসেন চাদর জড়িয়ে। ছিল সাদা কুর্তা পায়জামা। জয়া বচ্চন পরেছেন লাল পাড় সাদা সিল্ক শাড়ি। কাজল পরেছেন হলুদ ও সবুজ রঙের সিল্ক শাড়ি আর তাঁর ছেলে হলুদ রঙের কুর্তা ও পায়জামা। রানী মুখার্জি পরেছেন লাল সিল্ক শাড়ি, সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী গয়না। শর্বাণী মুখার্জি সেজেছেন লাল সিল্ক শাড়িতে। অয়ন মুখার্জি পরেছেন লাল পাঞ্জাবি, তার ওপরে সাদা ওভারকোট।
পূজামণ্ডপে তাঁরা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। এ সময় তাঁরা আড্ডা দিয়েছেন। ভোগ খেয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য পূজামণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ লক্ষ করা যায়। অনেকেই নিজেদের মুঠোফোনের ক্যামেরায় তাঁদের বন্দী করেছেন। আবার অনেকেই পুরো পরিবেশটা ভিডিওতে ধারণ করেন।
মুম্বাইয়ে ৭২ বছর ধরে এই পূজা আয়োজন করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের জুহুর টিউলিপ স্টার হোটেলের বড় অঞ্চল নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এই মুখার্জিবাড়ির দুর্গাপূজা। এবার পূজা আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন দেব মুখার্জি, অয়ন মুখার্জি ও শর্বাণী মুখার্জি। তবে তাঁদের পাশে আছেন কাজল, রানী মুখার্জিসহ তাঁদের পরিবারের আরও অনেকে।
গত শুক্রবার মহাষষ্ঠীতে অর্থাৎ দুর্গোৎসবের শুরুর দিনে মুখার্জিবাড়ির দুর্গাপূজায় আসেন কাজল ও তানিশা আর তাঁদের মা তনুজা। গত শনিবার মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় পূজামণ্ডপে আসেন রানী মুখার্জি। সেদিন আরও আসেন চলচ্চিত্র পরিচালক ইমতিয়াজ আলী ও অনুরাগ বসু। এই পূজামণ্ডপের বাড়তি আকর্ষণ ছিলেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী জয়া বচ্চন।
এর আগে বোম্বে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানী মুখার্জি বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে এই পূজা উদ্যাপন আমাদের পুরো পরিবারকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসে। বছরের এই সময়টাতে নিজেদের সব ব্যস্ততাকে দূরে ঠেলে দিয়ে পুরো পরিবারের সবাই একত্র হই, দেখা হয়, আড্ডা হয়, একসঙ্গে সময় কাটাই।’
রানী মুখার্জি আরও বলেন, ‘৭২ বছর ধরে আমাদের পরিবার এই পূজা উদ্যাপন করছে। এটা দুর্গা মায়ের আশীর্বাদ। বাবা-মায়েদের পর এখন আমরা একসঙ্গে এই পূজা উদ্যাপন করছি। আশা করছি, আমাদের পর আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম, যেমন: আমার মেয়ে, আমার ভাইয়ের দুই ছেলেমেয়েও এই দুর্গাপূজার রীতি চালু রাখবে।’