ব্যস্ততা-উৎসব মিলেমিশে একাকার

বিদ্যা সিনহা মিম, চঞ্চল চৌধুরী, জ্যোতিকা জ্যোতি।  ছবি: প্রথম আলো
বিদ্যা সিনহা মিম, চঞ্চল চৌধুরী, জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: প্রথম আলো

তারকা এখন, তাই আগের সেই দিন আর নেই তাঁদের। মণ্ডপে গিয়ে সারি বেঁধে প্রসাদ নেওয়া, বাড়ি বাড়ি নাড়ু দিয়ে আসা কিংবা বন্ধুদের নিয়ে হইচইয়ের সময় তারকাদের নেই। জীবন–জীবিকার ব্যস্ততা শেষে কিছুটা সময় তাঁরা দেন পরিবারকে। এ বছর কেমন কাটল তারকাদের দুর্গোৎসব। তিন তারকার সঙ্গে কথা হলো আমাদের।

মিম
এক বছর মামাবাড়ি, আরেক বছর দাদাবাড়ি। এভাবেই পূজা উদ্যাপন করেন অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম। এবার রাজশাহীর বাঘায় মামাবাড়িতে পূজা কাটিয়েছেন তিনি। ৩ অক্টোবর থেকে তাঁদের পারিবারিক আয়োজনে সেখানে করা হয় পূজার প্যান্ডেল। মণ্ডপের সামনে দরিদ্রদের নিজ হাতে কাপড় দিয়েছেন মিম। সঙ্গে ছিলেন মামাতো বোনেরাও।
মিম বলেন, ‘আগেকার জীবনটা মজার ছিল। মামাদের বাসার সামনে মেলা হতো। ঘুরে বেড়াতাম। চুড়ি, ফিতাসহ আরও কত কী কিনতাম। দশমীর দিতে প্রতিমা বিসর্জনে যেতাম পদ্মায়। এখন আর এসব জায়গায় যেতে পারি না, ভিড় জমে যায়। মন খুলে আর মজা করাও যায় না।’
মিম জানান, পূজায় বিভিন্ন ধরনের পিঠা, মিষ্টি, নাড়ু বানানো আর খাওয়ার ধুম পড়ে যেত বাড়িতে। তিনি বলেন, ‘বছর তিনেক আগেও আমি নিজ হাতে নারকেলের নাড়ু, লাড্ডু, পিঠা বানিয়েছি। এখন আর সময় হয় না। এখন মা-ই এসব করেন। তবে মিষ্টি খাওয়াটা কিন্তু মিস করি না।’

চঞ্চল চৌধুরী
সপরিবার গ্রামের বাড়ি পাবনার কামারহাটে পূজা উদ্যাপনে গেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সেখানে আছেন তাঁর মা–বাবা, ভাইবোন ও তাঁদের সন্তানেরা। তিনি বললেন, ‘আমাদের গ্রামে পাঁচটি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। গত পরশু রাতে গ্রামে পৌঁছাই। আগের মতো সেই আনন্দ করার সুযোগটা আমাদের নেই। এখনকার বাস্তবতা ভিন্ন। সময়, বয়স আর মানুষ—সবই বদলে গেছে। আগে উৎসব ঘিরে যে উত্তেজনা ছিল, বয়সের কারণে সেটা নেই। তবে এখন সময় আমাদের সন্তানদের। আমাদের কাজ হচ্ছে দায়িত্ব পালন করা। তাদের আনন্দে সঙ্গ দেওয়া। তাদের পথ খুঁজে দেওয়া।’
পুরোনো দিনগুলোর জন্য আফসোস হয় কি তাঁর? তিনি বলেন, ‘একেকটা সময়ের আনন্দ একেক রকম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দের মাত্রাগুলো বদলায়।’

জ্যোতিকা জ্যোতি
পূজার অর্ধেকের বেশি সময় কলকাতায় ছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি মুক্তির চাপে পূজার আনন্দ খুব বেশি অনুভব করতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘সপ্তমীর দিন সোদপুরের রথীন্দ্র সিনেমায় গিয়েছিলাম। দর্শকদের সাড়া দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। সেদিন কিছুটা সময় মামা–মামির সঙ্গে, সিনেমা হলে কাটিয়েছি। পরে আবার রাত দুইটা থেকে সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের চারজন বন্ধুকে নিয়ে পূজা দেখলাম।’
গতকাল দেশে ফিরেছেন তিনি। ঢাকা থেকে সরাসরি ময়মনসিংহ যান; সেখানে মা–বাবা, ভাইবোন আর ভাগনেদের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে। নবমীর দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে পরে ঢাকায় ফিরবেন বলে ঠিক করেছেন।