রবার্ট ডি নিরো চান, ট্রাম্প জেলে পচুক

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রবার্ট ডি নিরো। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রবার্ট ডি নিরো। ছবি: রয়টার্স

হলিউডের মহাতারকারা যে এই প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুণ্ডু কপচাচ্ছেন, তা নয়। সম্প্রতি দুটি অস্কারজয়ী, মার্কিন-ইতালীয় অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক রবার্ট ডি নিরো ট্রাম্পকে একহাত দেখে নিয়েছেন। লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবার্ট ডি নিরো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘গ্যাংস্টার প্রেসিডেন্ট’ বলে সম্বোধন করেন। আর বলেছেন, তাঁকে জেলে দেখার জন্য তর সইছে না নিরোর।

‘দ্য আইরিশম্যান’ ছবির ইউরোপীয় প্রিমিয়ার শেষে এ অভিনেতা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমরা সত্যিকারের কঠিন সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সেই সমস্যার নাম, গ্যাংস্টার প্রেসিডেন্ট। যিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর যা ইচ্ছা তিনি তা-ই করতে পারেন। তাঁর আশপাশে যে মানুষগুলো তাঁর সেই মিথ্যা বিশ্বাসকে সমর্থন দিচ্ছে। এই রিপাবলিকানরা খুবই ভয়ংকর। আমাদের আসলেই কিছু করা দরকার।’

ট্রাম্পকে জেলে দেখতে চান? জবাবে রবার্ট ডি নিরো বলেন, ‘অবশ্যই। তাঁকে জেলে দেখার জন্য আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আমি চাই না সে মারা যাক। আমি চাই সে জেলে পচুক।’ এখানেই শেষ নয়। ‘রাইজিং বুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবির এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘আজ আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি নিজেকে গ্যাংস্টার ভাবেন। কিন্তু আসলে তিনি ভালো গ্যাংস্টারও নন। গ্যাংস্টারদেরও একটা মানসম্মান আছে।’

বড় পর্দায় গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করা রবার্ট ডি নিরো বলেন, ‘গ্যাংস্টাররা ভদ্রভাবে করমর্দন করে। এরপর হয়তো আপনি সেই গ্যাংস্টারের সম্পর্কে দুটি ভালো কথা বললেন। গ্যাংস্টারও বলল, আপনার সঙ্গে আলাপ করে সে সুখী। এই ন্যূনতম ভদ্রতাটুকুও নেই ট্রাম্পের।’

ট্রাম্পের সঙ্গে মিডিয়ার ক্রমাগত সংঘর্ষ সম্পর্কে রবার্ট ডি নিরো বলেন, খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে রিপাবলিকানরা ক্রমাগত পৃথিবীকে কত খারাপ একটা জায়গা বানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটছে, ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞান যাঁর আছে, সে-ও বলবে, জঘন্য। কিন্তু পত্রিকায় তো কোনো নেতিবাচক কথা লেখা যাবে না। তাহলে ট্রাম্প প্রশাসন তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবে। মার্কিন প্রশাসন এগুলো করতে পারে না। তাঁরা যা করছে, এটা স্রেফ লজ্জা। ট্রাম্প একটা লজ্জার নাম।

মার্টিন স্করসেজির নতুন চলচ্চিত্র ‘দ্য আইরিশম্যান’। বরাবরের মতো এই ছবিরও মুখ্য বিষয় অপরাধ। এই ছবিতে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা ও বুফালিনো ক্রাইম ফ্যামিলির প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত ফ্র্যাংক শিরান জীবিত হবেন রবার্ট ডি নিরোর শরীরে। লেখকের দাবি, এই শিরানই ইউনিয়ন বস জিম্মি হফারের খুনি।

আর জিমি হফারের চরিত্রে দেখা যাবে আল পাচিনোকে। হ্যাঁ, তিনিই সেই জিমি হফার, যিনি ব্রাদারহুড অব টিমস্টার্সের কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ নেতা। ১৯৭৫ সালে নিখোঁজ হন এবং ১৯৮২ সালে তাঁকে আইনত মৃত ঘোষণা করা হয়।

আর বড় পর্দায় কুখ্যাত মাফিয়া রাসেল বুফালেনো হবেন জো পেসির। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। অনেকের মতে, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য এই ছবি ‘দ্য লাস্ট গ্রেট গ্যাংস্টার মুভি’। ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ছবিটি।