'বিগ বস' বন্ধের কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়

‘বিগ বস ১৩’ সঞ্চালনা করছেন সালমান খান ছবি: টুইটার
‘বিগ বস ১৩’ সঞ্চালনা করছেন সালমান খান ছবি: টুইটার

‘বিগ বসে’র সঙ্গে আর যে শব্দগুলো অবধারিতভাবে চলে আসে, সেগুলো হলো আলোচিত, সমালোচিত ও বিতর্কিত। আর ‘বিগ বসে’র ১৩ সিজন শুরুর আগে থেকেই একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে হানা দিয়েছে গণমাধ্যমে। শুরুর দিন থেকেই অশ্লীলতা আর সংস্কৃতিপরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছে। আর এবার শোনা যাচ্ছে, ‘বিগ বস’ ১৩ নাকি বন্ধই করে দেওয়া হবে।

ভারতের অসংখ্য রিয়েলিটি শোর মধ্যে যেটির নাম বারবার উচ্চারিত হয়, তা ‘বিগ বস’। দারুণ জনপ্রিয় এই শো এখন আলোচনার চেয়ে সমালোচনারই বেশি জন্ম দিচ্ছে। উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্য নন্দ কিশোর গুজ্জার অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার বন্ধ করার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই রিয়েলিটি শো ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। ভারতের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে।’

অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের নবনির্মাণ সেনার সভাপতি অমিত জৈন বলেছেন, এই রিয়েলিটি শো যত দিন না বন্ধ হবে, তত দিন তিনি অন্ন স্পর্শ করবেন না। শুধু ফল আর সবজি খেয়ে থাকবেন। একই দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে গাজিয়াবাদের ব্রাহ্মণ মহাসভা।

এবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ডেকান ক্রনিকল যে প্রতিবেদন করেছে, তাতে মনে হচ্ছে ‘বিগ বস’ এই বন্ধ হবে হবে। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, তাঁদের নজরদারিতে ধরা পড়েছে যে ‘বিগ বস’ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ওই সূত্র বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ এসেছে এই শোর বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই প্রতিটি পর্ব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই শো মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় এখন এই শো বন্ধ করার বিষয়ে ভাবছে।’

সরকারি ওই সূত্র আরও জানায়, এই শো প্রতিযোগীদের নেতিবাচক আচরণ করতে অনুপ্রাণিত করা হয়। ভদ্রতা, সভ্যতা আর সংস্কৃতির সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে তারা। একই মন্ত্রণালয়ের আরেক সূত্র জানায়, ‘“বিগ বস” খুবই বিষাক্ত ও নেশার মতো একটা অনুষ্ঠান। “সেক্সুয়ালি চার্জড” পরিবেশে নারী–পুরুষ একে অন্যের বিপরীতে লড়েন। নারী–পুরুষ সেমি-সেলিব্রিটিদের আটকে একটা বাজে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। যেগুলো আমাদের সংকৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিনোদনের নামে নৈতিকতার অধঃপতন ঘটানো হচ্ছে।’