সুরকার ফাহমিদা নবী, গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী

স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ের পর সৈয়দ আব্দুল হাদীর সঙ্গে ফাহমিদা নবী ও পঞ্চম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ের পর সৈয়দ আব্দুল হাদীর সঙ্গে ফাহমিদা নবী ও পঞ্চম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।

‘একজন কিংবদন্তি সৈয়দ আব্দুল হাদী, আর কিংবদন্তি মাহমুদুন্নবীর সন্তানেরা যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, কথা বলছিলাম তখন তাঁর মধ্যে বাবার গন্ধটা চারদিকে ছেয়ে গিয়েছিল।’

কথাগুলো নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট করেছেন সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। তাঁর সুর করা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরেক বরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। গান রেকর্ডিং শেষে উচ্ছ্বসিত ফাহমিদা আরও লিখেছেন, ‘কিছু কথা হয়তো খুব সাজানো নয়, কিন্তু আমাদের নিজের মতো করে কিছু কথা ও গল্প আড্ডার মতো স্মৃতিপটে তুলে রাখলাম। আমার সুরে গানের গল্পটা করতে করতে অনেক কিছুই বলেছেন চাচা।’

রানা মাসুদের কথায় ফাহমিদা নবীর সুরে হাদীর কণ্ঠের নতুন এই গানের শিরোনাম ‘আমি কেমন করে ভুলি’। লোকঘরানার এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন ফাহমিদা নবীরই ছোট ভাই পঞ্চম। অর্থাৎ ভাই-বোনের সুর সংগীতে গানেই কণ্ঠ দিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। যিনি ফাহমিদা নবীর বাবা প্রতিথযষা সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর সমসাময়িক সংগীতশিল্পী। যে কারণে রেকর্ডিং শেষে বাবাকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হন, কাঁদেন ফাহমিদা নবী।

ফাহমিদা নবীর সুরে গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন তাঁর ভাই পঞ্চম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
ফাহমিদা নবীর সুরে গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন তাঁর ভাই পঞ্চম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।

সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘আমি সত্যি ভাগ্যবান। বন্ধুর মেয়ের সুর আর ছেলের সংগীতে গাইতে পেরে আমিও আপ্লুত। ফাহমিদা খুবই সুন্দর সুর করেছে। গানটি গাওয়ার সময় মনে হয়েছে, ও আমার জন্যই সুরটি করেছে। ফাহমিদার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।’ তিনি জানান, দীর্ঘদিন তিনি এবং মাহমুদুন্নবী দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তিনি কবরে নামিয়েছেন।

ফাহমিদা নবী বলেন, ‘সুর করার সময়ই আমি চাচাকে ভেবেছি। গানটিতে হাদী চাচা কণ্ঠ দেওয়ার সময় মনে হচ্ছিল, আব্বাই যেন গানটি গাচ্ছেন। আমি ভীষণ খুশি, হাদী চাচার জন্য সুর করতে পেরে। এই আনন্দ আসলে বলে বোঝানো যাবে না। চাচা অনেকগুলো প্রাসঙ্গিক কথা বা উপদেশ দিয়েছেন। যা শিল্পীর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য। এত বড়মাপের মানুষ হবার জন্য প্রতিদিনের চর্চার বাইরে আসলে আর কিছু নেই। চাচা গানটা দারুণ গেয়েছেন।’

সংগীত পরিচালক পঞ্চম বলেন, ‘হাদী চাচার গানের সংগীতায়োজন করেছি, এটা আমার জীবনের অনেক বড় একটা অর্জন। বাবার গান করার সৌভাগ্য হয়নি কিন্তু বাবার বন্ধুর জন্য গান করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

জানা গেছে, ডেইলি স্টারের ‘জীবনের জয়গান’ শীর্ষক ৬টি লোকগানের প্রজেক্টের অন্যতম একটি।