'বালা'র গান নিয়ে খেপেছেন ড. জিউস

নকলের অভিযোগ ওঠা ‘বালা’ ছবির গানের দৃশ্যে আয়ুষ্মান খুরানা। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া
নকলের অভিযোগ ওঠা ‘বালা’ ছবির গানের দৃশ্যে আয়ুষ্মান খুরানা। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া

এ বছর বলিউডে টাক মাথার লোকদের ‘হিরো’ বানানো হচ্ছে। ‘হাউসফুল ফোর’ ছবির ‘বালা’ গানের নাচের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেট জগতে। বাদ যাননি আয়ুষ্মান খুরানাও। তিনি অক্ষয় কুমারের এই চ্যালেঞ্জ লুফে নিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। পুরো টিম নিয়ে ‘বালা’ গানে নেচেছেন ‘বালা’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করা আয়ুষ্মান খুরানা। চ্যালেঞ্জও রক্ষা করা হলো, মাঝখান থেকে নিজের ছবির প্রচারণাও হয়ে গেল।

এই বছর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ছবিগুলোর একটি আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত ‘বালা’। ছবিটি মুক্তি পাবে ৭ নভেম্বর। এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে এই ছবির প্রথম গান ‘ডোন্ট বি শাই অ্যাগেইন’। আর ১৮ অক্টোবর মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ‘হিট’ তকমা পেয়েছে এই গান। মাত্র দুই দিনে ইউটিউবে গানটি দেখা হয়েছে প্রায় ২ কোটিবার। ১৬ হাজার মানুষ মন্তব্যে জানিয়েছেন, গানটি পছন্দ হয়েছে তাঁদের। কিন্তু এই গানের বিরুদ্ধে এসেছে নকলের অভিযোগ।

গানটি নাকি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় সুরকার ও গায়ক ড. জিউসের। ‘বালা’ ছবির দলকে তিনি অনুমতি ছাড়া তাঁর গান ব্যবহার করার জন্য ভর্ৎসনা করেছেন। ভারতীয় জনপ্রিয় র‍্যাপার বাদশাহ গেয়েছেন গানটি। আর সংগীতায়োজন করেছেন শচীন-জিগার। বাদশাহ নাকি এরই মধ্যে ড. জিউসের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি সব দোষ দিয়েছেন শচীন-জিগারের ঘাড়ে। যদিও শচীন বা জিগার কারও কাছ থেকেই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রথমে ড. জিউস টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনারা আমার গান চুরি করেছেন। আমার অনুমতি ছাড়া আমার গান ব্যবহার করেছেন। আর কী অবস্থা করেছেন আমার পুরোনো হিট গানের। আমার সৃষ্টিকে এভাবে নষ্ট করার সাহস কীভাবে হলো? আমার আইনজীবী তোমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’

এই টুইট শেয়ার করে সংগীতশিল্পী বাদশাহ লিখেছেন, ‘গানটাকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আমি অবগত আছি। আমি জিউসকে ভালোবাসি, সম্মান করি। তাঁর রাগ হওয়ার যৌক্তিক কারণ ও অধিকার আছে। তিনি আমার চেয়ে বড়। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’

এরপর আরেক টুইট বার্তায় বাদশাহ লিখেছেন, ‘শচীন-জিগার আমার কাছের বন্ধু। তারা যথাযথ অনুমতি ও স্বত্ব নিয়েই গানটি নতুনভাবে তৈরি করেছে। এখানে হয়তো কোনো ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি। আর আমি ড. জিউস ভাইয়ের সঙ্গে আছি।’

এসব টুইটের পর কিছুটা শান্ত হয়েছেন ড. জিউস। অন্য এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, তিনি কোনো অশান্তি চান না। আর এই গানকে কেন্দ্র করে কেউ যেন বাদশাহ বা আয়ুষ্মান খুরানাকে কিছু না বলে। তাঁরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য মোটেও দায়ী নন। আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান হবে।