জীবনের জয়গানে পুরস্কৃত আলোকচিত্রী, চলচ্চিত্রী ও গীতিকবিরা

সেলিব্রেটিং লাইফ গালা অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা পেলেন সৈয়দ আবদুল হাদী, সারাহ বেগম কবরী ও সৈয়দ জামিল আহমেদ। তাঁদের বাঁয়ে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহফুজ আনাম। ছবির বাঁয়ে নাসের এজাজ বিজয়।  ছবি: প্রথম আলো
সেলিব্রেটিং লাইফ গালা অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা পেলেন সৈয়দ আবদুল হাদী, সারাহ বেগম কবরী ও সৈয়দ জামিল আহমেদ। তাঁদের বাঁয়ে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহফুজ আনাম। ছবির বাঁয়ে নাসের এজাজ বিজয়। ছবি: প্রথম আলো

সেরা স্থিরচিত্র, চলচ্চিত্র ও গীতিকবিতার জন্য পুরস্কৃত হলেন একঝাঁক মেধাবী তরুণ। আলোকচিত্র বিভাগে শেখ মুহিরুদ্দিন, সোহেল চৌধুরী, লিমান বড়ুয়া। গীতিকাব্য বিভাগে তপন বাগচী, রানা মাসুদ ও মহসিন আহমেদ এবং মিনালাপ চলচ্চিত্রের জন্য চলচ্চিত্র বিভাগে জয়ী হন সুবর্ণা সেঁজুতি।

গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি মিলনায়তনে বসে সেলিব্রিটিং লাইফ বা জীবনের জয়গানের ১২তম আসর। যৌথভাবে এই আয়োজন করেছিল ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এই আয়োজনে আজীবন সম্মাননা জানানো হয় সংস্কৃতি অঙ্গনের তিন গুণী সৈয়দ আব্দুল হাদী, সারাহ বেগম কবরী ও সৈয়দ জামিল আহমেদকে। তাঁদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় স্মারক, সনদ ও অর্থমূল্যের চেক।

চলতি বছরের মে মাস থেকে ‘বাংলাদেশের লোক ঐতিহ্য’ বিষয়বস্তুর ওপর শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সারা দেশ থেকে আগ্রহী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের আলোকচিত্র, গীতিকবিতা এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিটি বিভাগ থেকে তিনজন ও চলচ্চিত্রে একজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর। উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়। এ ছাড়া ইতালি ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কালচারাল অ্যাটাশে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘যাঁরা পুরস্কৃত হলেন, তাঁরা অত্যন্ত গুণী। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।’ মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমাদের জীবনের বড় পাওয়া, আমরা মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি। সম্ভাবনাময় মানুষদের সম্ভাবনাগুলো যদি বিকশিত হয়, তাহলে দেশ ও জাতি আলোকিত হয়।’

এক দশকের বেশি সময় ধরে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর আয়োজিত হয়ে আসছে এ প্রতিযোগিতা। সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশের প্রকৃতি, উৎসব, ঐতিহ্য। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের বিষয় ছিল ‘লোকজ গীতিকাব্য’। বিষয়টি উপজীব্য করে একটি গানের অ্যালবামও প্রস্তুত করা হয়েছে। ফাহমিদা নবীর সুরে গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, দিলরুবা খান, চন্দনা মজুমদার, শোয়েব, ইভা, সুকন্যা মজুমদার ও ফাহমিদা নবী। অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়া গীতিকবিদের লেখা গানও পরিবেশন করেন তাঁরা।