জয়-পরাজয় বড় নয়, সহযোগিতাই আসল: মিশা সওদাগর
>চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ২২৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খলনায়ক মিশা সওদাগর। অন্যদিকে স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী নায়িকা মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট। জয়-পরাজয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন এই দুই অভিনয়শিল্পী।
জয়ী হয়ে কেমন লাগছে?
গত দুই বছর আমরা সমিতিকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছি। শিল্পীদের জন্য প্রচুর কাজ করেছি। দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এগুলো আমাদের গত কমিটির অর্জন ছিল। তা ছাড়া আমি বরাবরই শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভালো প্যানেল দিয়ে আসছি। এবারের প্যানেলটি ছিল আমার কাছে সেরা। জয়ী হওয়ার জন্য শতভাগ প্রস্তুত ছিলাম।
প্রথম কাজ কী হবে?
নতুন কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমই জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করব। যে ১৬৫ জন ভোটার তালিকা থেকে এবার বাদ পড়েছেন, তাঁদের আপিল করার সুযোগ দেব। উপদেষ্টা পরিষদ ও নতুন কমিটি মিলে যাচাই করে যোগ্যদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চলচ্চিত্রের এই দুরবস্থা থেকে ফেরাতে কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন?
অবশ্যই। এ বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চাই। পরিচালক সমিতি, প্রযোজক–পরিবেশক সমিতি ও হলমালিকদের সঙ্গে বসব। সবার মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্ব নিয়ে কাজটি করব।
ঢাকার চলচ্চিত্রে নতুন অভিনয়শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। এ ব্যাপারে শিল্পী সমিতি ভূমিকা রাখতে পারে না?
পারে। এখন কাজটি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শিল্পী সমিতি থেকে প্রতিবছর তিন মাস করে দুবার অভিনয়ের ওপর কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এখান থেকে কোনো না কোনো শিল্পী বের হবে।
পরপর দুবার সভাপতি নির্বাচিত হলেন, শিল্পীদের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে গেল...
শিল্পী সমিতিতে আমি ১৫ বছর ধরে আছি। এর আগে অনেকবার বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছি। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। সততাই আমার শক্তি।
পরাজিত সভাপতি প্রার্থী মৌসুমীর সঙ্গে কথা হয়েছে?
হ্যাঁ, সকালেই তাঁকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, আমিও জানিয়েছি। আমি মৌসুমীকে বলেছি, জয়–পরাজয় বড় নয়, সহযোগিতাই আসল।