বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান লিখলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, গাইলেন বিশ্বজিৎ

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও কুমার বিশ্বজিৎ
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও কুমার বিশ্বজিৎ

‘এক জীবনে অনেক গান গেয়েছি। সেই গানের মাধ্যমে এবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি। তাই “হে বন্ধু বঙ্গবন্ধু” শিরোনামে নতুন একটি গান গাইলাম।’ কথাগুলো গায়ক ও সংগীত পরিচালক কুমার বিশ্বজিতের।

আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বিষয়টি সামনে রেখে এমন একটি গানের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ। শিল্পীর উত্তরার স্টুডিওতে গানটির কণ্ঠ ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। মিক্স মাস্টারিংয়ের জন্য মুম্বাইয়ে পাঠানো হয়েছে গানটি।


‘হে বন্ধু বঙ্গবন্ধু’ গানের কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ, আর এই গানের সুর করেছেন তরুণ গায়ক ও সংগীত পরিচালক কিশোর।

‘হে বন্ধু বঙ্গবন্ধু, তোমার কালো ফ্রেমের চশমাটা আমায় দাও, আমি চোখে দিয়ে দেখব, তুমি কেমন করে দেশটাকে এতো ভালোবাস’—এমন কথার একটি গান গাইতে পারায় ভীষণ আনন্দিত কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, ‘জীবনে মনে হয় কোনো গান নিয়ে এতটা খুঁতখুঁতে ছিলাম না। গানটি শুধু একটি গান নয়, এটি তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর ভাবনাচিন্তা, দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রদর্শনের একটি গল্প বলা। তাই তো সাতবার গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে চূড়ান্ত করেছি। এই গানের জন্য মানাম আহমেদের সঙ্গে কতবার যে বসেছি, তার হিসাব নেই।’

কুমার বিশ্বজিৎ জানান, এই গানের মধ্য দিয়ে তিনটি প্রজন্ম এক হয়েছে।

গানের গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শেষে বঙ্গবন্ধু যখন ক্ষমতায় এলেন, অনেকেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। আমি তো একজন মুক্তিযোদ্ধা। যাবই যেহেতু, মন চাইল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি গান লিখে নিয়ে যাই। তিনি আমাকে এমনিতেই আদর করতেন। যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতাম, মাথার চুল ধরে আদর করে বলতেন, এই তুই নড়বি–টড়বি না। বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে ভালোবাসা থেকে “হে বন্ধু বঙ্গবন্ধু, তোমার কালো ফ্রেমের চশমাটা আমায় দাও’ কবিতাটি লিখে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর খুব পছন্দ হলো। শুনেছিলাম, এটি তিনি বাঁধাই করে ঘরের দেয়ালে রেখেছিলেন। মাস ছয়েক আগে একদিন বিশ্বজিৎ এই কবিতার খোঁজ পায়। তারপর এটিকে গানে রূপান্তর করার অনুমতি চায়। আমি বলেছি, অনুমতির কিছু তো নাই, গান বানাবে, এটা তো খুবই আনন্দের খবর। এরপর প্রাথমিকভাবে বিশ্বজিৎ গানটি বানিয়ে আমাকে শোনায়, তখনই ভালো লাগে। পুরোপুরি তৈরি হওয়া গানটি শোনা হয়নি অবশ্য।’

কুমার বিশ্বজিৎ জানান, গানটির একটি সুন্দর ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা চলছে।