ভারতের হায়দরাবাদে নজরুল উৎসব

সংগীত পরিবেশন করছেন বাংলাদেশের বাঁশরীর শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
সংগীত পরিবেশন করছেন বাংলাদেশের বাঁশরীর শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে ‘নজরুল উৎসব’। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে গতকাল শনিবার। আজ রোববার উৎসবের শেষ দিন। উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের লামাকানে।

এই উৎসবে যোগ দিয়েছে কলকাতা, ঢাকা ও হায়দরাবাদের বাঙালি শিল্পীরা। উৎসব আয়োজন করেছে কলকাতার ছায়ানট এবং ঢাকার বাঁশরী যৌথভাবে। আর উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে হায়দরাবাদের সুর ও ধ্বনি ফাউন্ডেশন। এই সুর ও ধ্বনি ফাউন্ডেশন হায়দরাবাদে বইমেলার আয়োজন করে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নজরুল উৎসবের উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী চন্দনা খান। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে কলকাতা, ঢাকা ও হায়দরাবাদের শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। উৎসবে রয়েছে নজরুলের কবিতা পাঠ, নজরুলসংগীত ও নজরুলের গানের ওপর নৃত্যানুষ্ঠান। দেখানো হচ্ছে নজরুলের জীবনীভিত্তিক একটি তথ্যচিত্র ‘নজরুল জীবন পরিক্রমা’। এই অনুষ্ঠানে নজরুলের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করে শোনান হায়দরাবাদের আবৃত্তিকার সুপ্রীতি চক্রবর্তী।

শনিবার সন্ধ্যায় নজরুল উৎসবের উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী চন্দনা খান। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার সন্ধ্যায় নজরুল উৎসবের উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী চন্দনা খান। ছবি: সংগৃহীত

শনিবার অংশ নেয় বাংলাদেশের বাঁশরী। যোগ দেন বাঁশরীর শিল্পী সিদ্ধার্থ গোলদার, আশীষ কুমার শীল ও তারক নট্ট। একই দিনে কলকাতার পুনশ্চের পরিবেশিত সংগীতানুষ্ঠানে যোগ দেন দর্পনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একদল শিল্পী। এদিন সবশেষে ছিল কলকাতার ছায়ানটের নজরুলসংগীত পরিবেশন এবং সেই সঙ্গে ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিকের কণ্ঠে একক নজরুলসংগীত।

জানা গেছে, আজ রোববার অনুষ্ঠিত হবে বাঁশরী ও ছায়ানট কলকাতার সংগীতানুষ্ঠান। এ ছাড়া হায়দরাবাদের হিন্দোল ড্যান্স গ্রুপ পরিবেশন করবে নজরুলের গানের ওপর নৃত্য। যোগ দেবেন স্বস্তিকা চক্রবর্তী, তৃপ্তা ঘড়াই, ঋষিতা বিশ্বাস ও সুদেষ্ণা সামন্ত। এদিন হায়দরাবাদের শিল্পী পৌলমী গুপ্ত, রুমা সেনগুপ্ত, অনুভব চ্যাটার্জি পরিবেশন করবেন নজরুলসংগীত।

নজরুলের সৃষ্টিকে এবার ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতার ছায়ানট এবং বাংলাদেশের বাঁশরী একযোগে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রথম এই দুই সংগঠন নজরুলকে নিয়ে উৎসব করল। এরপর তারা ভারতের আরও কয়েকটি শহরে নজরুল উৎসব করার উদ্যোগ নিয়েছে।