লেডি গাগা এবার কলঙ্কিত খুনি
আপনার দেখা ২০১৮ সালের সেরা ছবি কোনটি? বেশি বাছাই করতে হবে না। অনেকেরই উত্তরে উঠে আসবে একটি ছবির নাম; ‘আ স্টার ইজ বর্ন’। ব্রাডলি কুপার পরিচালিত প্রথম ছবি। লেডি গাগা অভিনীত প্রথম ছবি। আর এই ছবিতে ‘শ্যালো’ গানটি গেয়ে তিনি জিতলেন অস্কার। সেই অস্কারজয়ী লেডি গাগা ফিরছেন বড় পর্দায়। এমনটিই জানিয়েছে হলিউড রিপোর্টার।
গায়িকা থেকে নায়িকা—এমন উদাহরণ হলিউডে একেবারে কম না। এবার অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতেও উঠেপড়ে লেগেছেন লেডি গাগা। আর বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তাঁর একটা আলাদা সুখ্যাতি তো আছেই।
এবার বলুন আপনার প্রিয় ব্র্যান্ডের নাম। এখানেও একটা নাম কমন পড়ে যাবে। গুচি। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইতালীয় ব্র্যান্ডের নাম এখন কেবল উচ্চবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তের মুখে মুখেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই ছবির কথা বলার আগে ছোট্ট করে ইতিহাসটা একবার না বললেই নয়।
গুচির প্রতিষ্ঠাতা গুচিও গুচি ছিলেন ইতালির নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্যবসায়ী। তাঁর নামের পরের অংশ থেকেই এই ব্র্যান্ডের নাম রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে পৈতৃক সূত্রে এই গুচির মালিকানা লাভ করেন গুচিও গুচির নাতি, মরিৎসিও গুচি।
মরিৎসিও গুচি গুচির আজকের এই অবস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বাহরাইনভিত্তিক কোম্পানি ইনিভেস্টকর্পের সঙ্গে তখনকার ১৭০ মিলিয়ন ডলারের একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করান। এর দেড় বছর পর ১৯৯৫ সালে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।
মরিৎসিও গুচির সাবেক স্ত্রীর নাম ছিল পাতরিৎজিয়া রেজ্জিয়ানি। ১৯৭৩ সালে মরিৎসিও বিয়ে করেন পাতরিৎজিয়াকে। ১৯৯১ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। মরিৎসিও গুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বেরিয়ে আসে পাতরিৎজিয়ার নাম। অর্থাৎ এই সাবেক স্ত্রীই গানম্যান ভাড়া করে খুন করিয়েছিলেন মরিৎসিও গুচিকে। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর ২০১৬ সালেও ছাড়া পান ‘ব্ল্যাক উইডো’-খ্যাত পাতরিৎজিয়া রেজ্জিয়ানি।
এ ঘটনা ইতালির অভিজাত শ্রেণির সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনাগুলোর একটি। আর এ ঘটনা নিয়েই নির্মিত হবে এই ছবি। সেখানে বড় পর্দায় পাতরিৎজিয়া রেজ্জিয়ানি হবে লেডি গাগা। এখনো ছবির নাম ঠিক করা হয়নি।