নিকের ডায়াবেটিস আর প্রিয়াঙ্কার ধোঁয়া

এই ছবিটি পোস্ট করেই নিক ডায়াবেটিসের অভিজ্ঞতা লিখেছেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এই ছবিটি পোস্ট করেই নিক ডায়াবেটিসের অভিজ্ঞতা লিখেছেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ডায়াবেটিস রোগটি এখন রীতিমতো ডালভাতের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশন-আইডিএফের মতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৭১ লাখ ডায়াবেটিস রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই চিত্র কেবল বাংলাদেশের নয়। বিশ্বের সার্বিক চিত্র অনেকটা এ রকমই। এই যেমন মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে টাইপ এ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জীবনসঙ্গী নিক জোনাস।

২০০৫ সালের নভেম্বরে মার্কিন সংগীতশিল্পী নিক জোনাসের ডায়াবেটিস টাইপ এ ধরা পড়ে। ইনস্টাগ্রামের এক সাম্প্রতিক পোস্টে নিক জোনাস কথা বলেছেন ডায়াবেটিসের অনুভূতি নিয়ে। একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আজ থেকে ১৪ বছর আগে এই মাসেই আমার টাইপ এ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এই অসুখ আমার জীবন যাপন বদলে দিল। নিয়মিত ব্যায়াম করো, পরিমাণমতো খাবার খাও, ঠিক সময়ে ঘুমাও, ঘুম থেকে ওঠো। আর আমার বাকি সময়টা কাটত রক্তে শর্করা আর ইনসুলিন নিয়ে চিন্তা করে। এই ছিল আমার জীবন।’

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নিক আরও লিখেছেন, ‘যে রোগটা দেখা যায় না, সেই রোগটার জন্য যুদ্ধটাও সব সময় চোখে পড়ে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাকে লড়তে হতো। আর টাইপ এ ডায়াবেটিস হলে মানুষ একাকিত্ব আর বিচ্ছিন্নতায় ভোগে। এ জন্যই আমি ২০১৫ সালে “বিয়ন্ড টাইপ এ” নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ি। যাতে এই রোগে ভোগা মানুষদের না মনে হয়, যে তারা একা। আমরা সবাই সঙ্গে আছি। যাতে সবাই সবার সঙ্গে নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করে পরামর্শ নেয়, আর ভালো বোধ করে।’

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কিন্তু নভেম্বর মাসেই কেন নিক জোনাস এই পোস্টটি দিলেন? কারণ, নভেম্বর মাস বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সচেতনতামূলক মাস। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভক্তরা যেভাবে নিক জোনাসকে সমর্থন করেছেন, তাঁতে নিক আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

দিল্লিতে মাস্ক লাগিয়ে ঘুরছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
দিল্লিতে মাস্ক লাগিয়ে ঘুরছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক নিয়ে দিল্লির রাস্তায় শুটিংয়ের জন্য ঘুরছেন। এই ছবির ক্যাপশনে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘দিল্লির এই অসহনীয় গরমে ভয়াবহ বায়ুদূষণের ভেতর কাজ করা ভয়ংকর চ্যালেঞ্জিং। বিশোধক আর মাস্ককে ধন্যবাদ। যাদের থাকার ঘরই নেই, তাদের না জানি কী অবস্থা! সবাই সুস্থ থাকুন।’

এই পোস্টে যারপরনাই খেপেছে একদল। তারা মন্তব্যে বলেছে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যদি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয়, তাহলে বাতাস আরও পরিষ্কার থাকবে। টিটকিরি করতেও ভোলেনি। লিখেছে, ‘দ্য ফেইক অ্যাজমা গার্ল’। আবার একদল লিখেছে, প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে যোধপুরে যে পরিমাণ পটকাবাজি ফোটানো হয়েছে, তাতেই তো বায়ু দূষিত হয়েছে। বুঝলেন তো, তারকা হওয়া সহজ কথা নয়।

এই বছরের জুনে মিয়ামি সমুদ্রসৈকতে জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। সে সময় সঙ্গে ছিলেন মা মধু চোপড়া, স্বামী নিক জোনাস আর বোন পরিণীতি চোপড়া। আর সেই জন্মদিনের পার্টিতে প্রিয়াঙ্কার হাতে ‘শোভা’ পাচ্ছিল সিগারেট। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম সমালোচনার ঝড় ওঠে!