আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২৫ জানুয়ারি

১২তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী দিনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
১২তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী দিনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ-২০২০ শুরু হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি। সপ্তাহব্যাপী চলবে এটি। এটি হবে এ উৎসবের ত্রয়োদশ আয়োজন।

ইতিমধ্যে উৎসবে চলচ্চিত্র জমা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। আয়োজকেরা জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছবি দিতে পারবে আগ্রহী শিশু–কিশোরেরা।

গত ১৬ আগস্ট শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। যেকোনো বয়সের নির্মাতা শিশুতোষ চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন আন্তর্জাতিক বিভাগে। আর শিশুদের তৈরি চলচ্চিত্র জমা নেওয়া হবে অনূর্ধ্ব–১৮ বিভাগে। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা যেকোনো বিষয়ে চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন তরুণ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে। এ ছাড়া এ বছর ‘তোমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ নামে একটি বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ২৫ বছরের কম বয়সীরা চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন।

২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছবি দিতে পারবে আগ্রহী শিশু–কিশোরেরা।
২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছবি দিতে পারবে আগ্রহী শিশু–কিশোরেরা।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে সবাই সিনেমা দেখতে পারবেন। শিশুরা থাকবে অগ্রাধিকারে। উৎসবে বেশ কয়েকটি বিভাগে সারা বিশ্বের শিশু নির্মাতারা প্রতিযোগিতা করবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিশু নির্মাতাদের প্রতিযোগিতা (বাংলাদেশ), শিশু নির্মাতাদের প্রতিযোগিতা (আন্তর্জাতিক), তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতাদের প্রতিযোগিতা, বিশেষ চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা। উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ঢুঁ মারতে পারেন তাদের ওয়েবসাইটে। প্রতিবছর এই উৎসবে শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়। বিচারকেরা ছবি দেখে নির্মাতাদের পুরস্কৃত করেন। থাকে শিশু নির্মাতাদের জন্য কর্মশালা ও আর্থিক প্রণোদনা।

১২তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা। ছবি: সংগৃহীত
১২তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

২০০৭ সাল থেকে এই শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হয়। সব শিশু চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে—এমন ভাবনা নয়, বরং ছোটদের নেতৃত্বের গুণটি তৈরি করে দেওয়াই এ উৎসবের লক্ষ্য। আমরা নেপথ্যে থাকলেও শিশুরাই পরিচালনা করে এ উৎসব। এ ধরনের আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ফলে তারা মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি এ উৎসব থেকে তৈরি হওয়া শিশু নির্মাতার ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে যাচ্ছে এবং সমাদৃত হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ উৎসবের মাধ্যমে একধরনের চলচ্চিত্র আন্দোলনও গড়ে উঠেছে দেশে।