আজ সন্ধ্যায় স্টুডিও থিয়েটারে 'মাইক মাস্টার'

.‘মাইক মাস্টার’ নাটক দিয়ে ব নাটুয়া নাট্যদলের যাত্রা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
.‘মাইক মাস্টার’ নাটক দিয়ে ব নাটুয়া নাট্যদলের যাত্রা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার মঞ্চে নতুন নাটকের দল ব নাটুয়া। আবদুল্লাহ আল-মামুনের লেখা ‘মাইক মাস্টার’ নাটক দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু। এই নাটকের ২০তম প্রদর্শনী আজ সন্ধ্যায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে নাটকের প্রদর্শনী।

আবদুল্লাহ আল-মামুনের লেখা ‘মাইক মাস্টার’ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন আবদুল মমিন। নির্দেশক বলেন, ‘২০১৬ সালে ব নাটুয়া নাট্যসংগঠনটি আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সংগঠনটি “মাইক মাস্টার” নাটকের নিয়মিত মঞ্চায়ন করে আসছে। এই সময়ের মধ্যে সংগঠনটি জাফর ইকবালের গল্প থেকে নাটক “নিশিকাব্য” ও জহির রায়হানের ছোটগল্প থেকে নাটক “একুশের গল্প” মঞ্চে আনলেও “মাইক মাস্টার” নাটকটির নিয়মিত মঞ্চায়ন থেমে থাকেনি। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির ২০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এটা এক অর্থে একটা জার্নি, যা আমাদের একটা অর্জন বলেই মনে হচ্ছে। এই অর্জনের পেছনে যাঁরা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে দর্শক, সমালোচক, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে নাটকটির কলাকুশলীরা ২০তম মঞ্চায়নের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটা আনন্দবার্তা ছড়িয়ে দিতে চান।’

‘মাইক মাস্টার’ একক নাটক। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীর, যার বর্তমান পেশা মাইকে রাজনৈতিক সভা-সমিতির ঘোষণা প্রচার করা। সে কাছ থেকে দেখা রাজনীতির নানা অন্ধকার দিকের কথা শুনিয়েছে এই নাটকে। মাইক মাস্টারকে বলতে শুনি, ‘আমাদের এই পোড়া কপাল ভূখণ্ডের একটাই সমস্যা, সেটা হলো রাজনীতি। মাঝে মাঝে আমি ধোঁকায় পড়ে যাই, এই মালটার নাম রাজনীতি হলো কেন? নীতির সঙ্গে যার কোনো সম্পর্ক নাই!’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কথা এবং তাঁর ঘাতকদের বিচার না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভের কথা উচ্চারিত হয়েছে নাটকটিতে। একজন আদর্শবান, সৎ রাজনৈতিক কর্মীর জীবনের বঞ্চনাই যেন ‘মাইক মাস্টার’–এর আত্মকথন।

একজন আদর্শবান, সৎ রাজনৈতিক কর্মীর জীবনের বঞ্চনা নিয়ে ‘মাইক মাস্টার’। ছবি: সংগৃহীত
একজন আদর্শবান, সৎ রাজনৈতিক কর্মীর জীবনের বঞ্চনা নিয়ে ‘মাইক মাস্টার’। ছবি: সংগৃহীত

নাটকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুল মমিন। কোরাস চরিত্র আছেন অনাবিল, অন্তরা, রাব্বি, ফারহান, তারিফ, মেহেদী ও সাব্বির।