পুরো ব্যাপারটাই ছিল স্বপ্নের মতো: আঁখি আলমগীর

আঁখি আলমগীর।  ছবি: সংগৃহীত
আঁখি আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কলকাতার একটি কনসার্টে ৩০ হাজারেরও বেশি দর্শকের উপস্থিতিতে গান গেয়েছেন আঁখি আলমগীর। এ মঞ্চ থেকেই তাঁকে সম্মাননা জানানো হয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর সঙ্গে। পাশাপাশি গানের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন এই গায়িকা। এসব নিয়েই কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

কুমার শানুর সঙ্গে একই মঞ্চে সম্মানিত হলেন। অনুভূতির কথা শুনতে চাই।
কুমার শানু আমার পছন্দের শিল্পী, তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে গান গাওয়া অনেক আনন্দের। সেখানে সম্মানিতও হলাম। পুরো ব্যাপারটাই ছিল স্বপ্নের মতো। আমরা দুজনে দুই ঘণ্টা করে গান গেয়েছি।

রেওয়াজ তো নিয়মিত করেন?
আমি যে অনেক বেশি চর্চা করি তাও কিন্তু না। তবে আমি পেশাদার। যে কাজটা করি কিংবা এতদিন করেছি—খুবই নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে করেছি। কখনোই দর্শকদের ঠকাইনি, আয়োজককে ঠকাইনি, নিজেকেও নিজে ঠকাইনি। পেশাদারত্ব ছিল, আছে—এটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমার কোনো অর্জনে আনন্দ হয়, কিন্তু বড় করে দেখিনি। আমি মনে করি, এর বাইরেও জীবন আছে, সুখে থাকার আরও অনেক অনুষঙ্গ আছে।

স্টেজ শোতে গান গাওয়া অনেক পরিশ্রমের ব্যাপার। ফিটনেস ধরে রাখাটা কতটা জরুরি?
স্টেজ শোতে অনেক এনার্জি লাগে। তাই ফিটনেস খুবই জরুরি। আমরা হয়তো গানের রেওয়াজ করছি, কিন্তু ফিটনেস নিয়ে ভাবছি না—এটা মোটেও ঠিক না। উত্তরাধিকার সূত্রে আমি বেশ সৌভাগ্যবান, আমার বাবা (চিত্রনায়ক আলমগীর) অনেক ফিট, তাঁর দিক থেকে পেয়ে গেছি। তারপরও হাঁটাহাঁটি করি।

নতুন গানের খবর বলুন।
নতুন গানের রেকর্ডিং শেষ। নাম ঠিক হয়নি। ভিডিও আকারে গানটি প্রকাশ করব। গানটির সুরকার ও সংগীত পরিচালক আকাশ সেন। ইচ্ছে আছে, নতুন বছরের প্রথমে প্রকাশ করার।

গানে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি বলুন।
আনুষ্ঠানিকভাবে খবরটি শোনার পর যে অনুভূতি হয়েছে তা সীমাহীন আনন্দের। আমার মা ছিলেন আমার বাসায়। মা-মেয়ে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদছিলাম। আনন্দের কান্না।

শেষ তিন প্রশ্ন
অগ্রজ ও অনুজদের মধ্যে মঞ্চ মাতানো কয়েকজন গায়িকার নাম শুনতে চাই।
রুনা লায়লা। এরপর সাবাতানি ও শাকিলা শর্মা। অনুজদের মধ্যে মিলা ও কোনাল।

দ্বৈত গানের অ্যালবামে সহশিল্পী কাকে নেবেন?
কুমার শানুকে।

যে মঞ্চে গাইবার স্বপ্ন দেখেন?
লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হল অথবা সিডনির অপেরা হাউস মিলনায়তন।