আলাউদ্দিন আলীকে কেমোথেরাপি দেওয়া যাচ্ছে না

ব্যাংককে মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দিন রাজকন্যার সঙ্গে আলাউদ্দিন আলী। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ব্যাংককে মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দিন রাজকন্যার সঙ্গে আলাউদ্দিন আলী। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

দেশের বরেণ্য গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী আলাউদ্দিন আলী এখন আছেন ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ অক্টোবর সকালে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী ফারজানা মিমি আর ছোট মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দিন রাজকন্যা। আজ মঙ্গলবার সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ জানালেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ফারজানা মিমির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে।

ব্যাংকক থেকে ফরিদ আহমেদকে জানানো হয়েছে, আলাউদ্দিন আলীর শরীরে আবার ক্যানসার ধরা পড়েছে। তাঁর ফুসফুসে নতুন করে টিউমারের অস্তিত্ব দেখা গেছে। পাশাপাশি তাঁর যকৃতেও টিউমার পাওয়া গেছে। তবে দুর্বলতার জন্য এখন আর কেমোথেরাপি দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর দুর্বলতা কাটানোর জন্য এখন চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, আগামী মাস তিনেকের মধ্যে তিনি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

এদিকে আলাউদ্দিন আলীর সুস্থতা কামনা করে তাঁর ছোট মেয়ে রাজকন্যা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাবা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আল্লাহ যেন আমার বাবাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলেন, সেই জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

এর আগে গত ৩ অক্টোবর আলাউদ্দিন আলীর মেয়ে সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দিন বলেছেন, ‘প্লিজ, আব্বুর জন্য সবাই দোয়া করুন। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আব্বু থাইল্যান্ড যাচ্ছেন।’

আলাউদ্দিন আলী গত ২২ জানুয়ারি রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। পাশাপাশি তাঁর উচ্চমাত্রায় জ্বর ছিল। কাশি হচ্ছিল। সবকিছু মিলিয়ে অবস্থা জটিল আকার ধারণ করে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৫ জানুয়ারি সকালে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ৭৭ দিন চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়। গত ৮ এপ্রিল তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এরপর ফিজিওথেরাপি নেওয়ার জন্য তাঁকে মিরপুরে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই আলাউদ্দিন আলীকে ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। তখন আলাউদ্দিন আলী প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, টিউমারটি হৃদ্‌যন্ত্রের কাছাকাছি হওয়ায় এর অস্ত্রোপচার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিকল্প হিসেবে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। এরপর এখন পর্যন্ত তাঁর অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারের চিকিৎসাও চলছিল।