স্থিতিশীল লতা মঙ্গেশকর

লতা মঙ্গেশকর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
লতা মঙ্গেশকর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

আপাতত স্থিতিশীল আছে লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থা। আগের তুলনায় তাঁর অবস্থার উন্নতি হলেও ৯০ বছরের গায়িকার সংক্রমণ না কাটা পর্যন্ত তাঁরা অন্য কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমস আজ দুপুরে লতার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টা নাগাদ বুকে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। সেখানকার জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ফারুখ ই উদওয়াড়িয়ারের তত্ত্বাবধানে আইসিইউতে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। বুকে সংক্রমণের জন্যই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি লতা মঙ্গেশকরের নিউমোনিয়া এবং হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা রয়েছে।

বয়সের কথা মাথায় রেখেই চিকিত্সকেরা তাঁকে শিগগিরই সুস্থ করে তোলার চেষ্টা শুরু করেন। অবশেষে সোমবার দুপুর থেকে প্রথিতযশা এই প্রবীণ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে বলে খবর শোনা যায়। আপাতত ভেন্টিলেটরেই রাখা হয়েছে তাঁকে।

লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, ‘সত্যি কথা বলতে কি, তিনি এমন লড়াই করেছেন যে খারাপ অবস্থা থেকে তিনি বেরিয়ে আসছেন। গানের মানুষ হওয়ায় তাঁর ফুসফুসের ক্ষমতা তাঁকে এ অবস্থা থেকে বের করে এনেছে। তিনি একজন প্রকৃত যোদ্ধা। লতাজি কখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ও বাড়ি ফেরেন, তা হালনাগাদ আমরা জানাব। এই মুহূর্তে তাঁর পরিবারকে যে স্পেস দেওয়া প্রয়োজন, তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

লতা মঙ্গেশকরের অসুস্থতার খবর পাওয়ার পর থেকেই উত্কণ্ঠা চোখে পড়ে তাঁর ভক্তদের মধ্যে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা শুরু করেন ভক্তরা।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর লতা মঙ্গেশকর ৯০ বছরে পা দেন। সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচক হৃদয় তৃপ্ত করে চলা ভারতীয় সংগীতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন। কিন্তু তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে।
লতা মঙ্গেশকর তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি গান গেয়ে। লতা গেয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার গান। লতা মঙ্গেশকর প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করেছেন। এর মধ্যে আছে বাংলাও।
২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন।