এ সপ্তাহে নতুন

দ্য পলিটিশিয়ান

স্যান্টা বারবারার ধনীর দুলাল পেটন হোবার্ট (বেন প্ল্যাট)। তার বয়স যখন সাত তখন থেকেই সবাই জানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছে সে! কিন্তু তার আগে তাকে পেরিয়ে আসতে হবে কঠিন এক পথ—সেইন্ট সেবাস্টিয়ান হাইস্কুল। এই স্কুলটি বিশ্বাসঘাতকতার রাজনৈতিক উদ্যান হিসেবে কুখ্যাত। তো সবার আগে পেটন হোবার্টকে এই স্কুলের স্টুডেন্ট বডি প্রেসিডেন্ট হতে হবে। তা হতে পারলে হার্ভার্ডের দুয়ার খুলে যাবে তার জন্য। এবং মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথটাও হবে সুগম। আর তাই স্কুলের ধূর্ত সহপাঠীদের ঘোল খাওয়াতে হবে পেটনকে। তবে তা করতে হবে ন্যায়নীতি বজায় রেখে। এতদিনের অর্জিত ভাবমূর্তি যেন ক্ষুণ্ন না হয়। রায়ান মারফি, ব্র্যাড ফ্যালচাক ও ইয়ান ব্রেনানের দ্য পলিটিশিয়ান কমেডি ঘরানার সিরিজ। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া নিয়ে রঙ্গ–রসিকতা করা হয়েছে এতে। ২৭ সেপ্টেম্বরে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে বিশ্বব্যাপী। 

ইনসাইড বিলস ব্রেইন: ডিকোডিং বিল গেটস

মাইক্রোসফটের মুখ্য নির্বাহী পদ ছেড়ে দিলেও বিল গেটসের অবসর নেই। ব্যবসার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে পা রেখেছেন পৃথিবীর পথে। ব্রতী হয়েছেন দুনিয়া বদলে দেওয়ার কাজে। চলমান নানা জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে চলেছেন, সমাধানও করছেন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। সব মিলিয়ে আধুনিককালের অন্যতম এই নায়ককে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডজয়ী নির্মাতা ডেভিস গাগেনহাইম সেই আগ্রহের খোরাক জোগালেন। স্বাভাবিকভাবেই তিন পর্বের ইনসাইড বিলস ব্রেইন তথ্যচিত্রে আছে বিল গেটসের সাক্ষাৎকার। এতে উঠে এসেছে তাঁর কর্ম ও ব্যক্তিজীবনের খুঁটিনাটি। ফলে তথ্যচিত্রটিকে নির্দ্বিধায় বিলের দর্শন, স্বপ্ন, বাস্তবতা ও বর্ণাঢ্য পথচলার চমৎকার এক দলিল বলতে পারেন। কেবল বিল নয়, তাঁর জীবনসঙ্গী মেলিন্ডা গেটস ও তাঁদের বন্ধুরাও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এ তথ্যচিত্রে।

ইন দ্য শ্যাডো অব দ্য মুন

১৯৮৮ সালের গল্প। ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ থমাস লকহার্টের (বয়ড হলব্রুক) মন ক্ষুধার্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে যা করছে, তাতে মনের আশ মিটছে না। তার খিদে মিটবে গোয়েন্দাগিরিতে। তাই একদিন এক ক্রমিক খুনির পিছু নেয়। এই খুনি নয় বছর ধরে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ঘাগু এই খুনির পেছনে ছুটতে গিয়ে থমাস নাকাল। খুনির কর্মকাণ্ড চলে যাচ্ছে বৈজ্ঞানিক সব ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে। সত্য সন্ধানে মরিয়া থমাসের কর্মজীবন আর পরিবারও পড়ে যাচ্ছে মহাসংকটে। জীবন থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে শান্তি শব্দটা। জিম মিকলের এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন মাইকেল সি হল ও ক্লিওপেট্রা কোলম্যান। নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী ছবিটি মুক্তি পাবে ২৭ সেপ্টেম্বরে। নির্মাতা বলছেন, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে সময়ের শক্তিপরীক্ষা দেখানো হয়েছে। বহমান সময় কী করে সবাইকে এক করে অথবা বিচ্ছিন্ন করে—তারই এক নমুনা এই ছবি। 

গ্রন্থনা: মাহফুজ রহমান, সূত্র: নেটফ্লিক্স