একালের বলিউডকেই বেশি ভালোবাসেন ঋষি কাপুর

আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ঋষি কাপুর আর ইমরান হাশমি অভিনীত ‘দ্য বডি’। ছবি: টুইটার থেকে
আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ঋষি কাপুর আর ইমরান হাশমি অভিনীত ‘দ্য বডি’। ছবি: টুইটার থেকে

১১ মাস ১১ দিন পর ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে ফিরেছেন ঋষি কাপুর। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে তাঁর আর ইমরান হাশমি অভিনীত ‘দ্য বডি’। সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন এই ছবি আর অন্যান্য নানা প্রসঙ্গে।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘দৃশ্যম’খ্যাত যিশু যোসেফ। আর ইমরান হাশমি ও ঋষি কাপুরকে এক পর্দায় কেমন লাগে, সেটা নাকি কেউ ভাবতে পারেন না। সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই ছবিতে। ইমরান হাশমির সঙ্গে অভিনয়ের বিষয়ে ঋষি কাপুর বলেন, ‘যোসেফের পক্ষেই এটা সম্ভব। সে ছাড়া আর কারও পক্ষে এই ভাবনা ভাবা সম্ভব ছিল না। আমরা দুজনেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটো চরিত্র করছি এখানে। “ষান্ড কি আঁখ” ছবিতে তাপসী পান্নু আর ভূমি পেড়নেকরকে নেওয়ার জন্য অনেক সমালোচনা হলো। কিন্তু শিল্পীদের কি এভাবে “মানায় না” বলে আটকে রাখলে চলে? শিল্প কোথাও আটকে থাকবে না। শিল্পের কাজই ভেঙে গড়া।’

তাপসী পান্নু আর ভূমি পেড়নেকর ‘ষান্ড কি আঁখ’ ছবিতে ৮২ আর ৮৮ বছরের দুই বৃদ্ধার চরিত্র করায় তা নিয়ে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ঋষি কাপুর বলেন, ‘ওরা কেবল নাচ–গানের ভেতর নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে চায়নি। ওরা শিল্পী হতে চেয়েছে। তাই নিজেদের ভেঙে গড়ার চ্যালেঞ্জ আর সুযোগটা লুফে নিয়েছে। আমি এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই।’

ঋষি কাপুর জানান, তাঁর সময়ের চেয়ে তিনি একালের বলিউডকে বেশি ভালোবাসেন। কারণ, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বলিউড সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময়। পরিবর্তন আর নিরীক্ষাধর্মী ছবিকে এখানে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। যে সময় তাঁর যেসব চরিত্র করার সুযোগ ছিল না, এখনকার অভিনয়শিল্পীরা হরহামেশা সেসব চরিত্র দিয়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন।

নিজের ছেলে রণবীর কাপুরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে “বরফি”, “সঞ্জু” বা “রকস্টার”–এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছে। এসব ছবি সমালোচক আর দর্শক সবাই সাদরে গ্রহণ করেছে। এই ছবিগুলো দিয়েই লোকে ওকে চেনে। আমাদের সময় এটা সম্ভব হতো না।’

এরপরই ঋষি কাপুর আয়ুষ্মান খুরানার কথাও বলেন, ‘আয়ুষ্মান খুরানা যে ধরনের ছবি করল, আবার ছক্কাও হাঁকাল, আমি এসব চরিত্র করার সাহসই পেতাম না। দর্শকও বদলে গেছে। এখন আর ছবি হিট করার জন্য সুইজারল্যান্ডে গিয়ে নাচার প্রয়োজন নেই। এই যে পরিবর্তনটা এল, এ জন্য আয়ুষ্মানের অবদান অগ্রাহ্য করা যাবে না। এই ধন্যবাদ ওর প্রাপ্য।’