রাস্তায় অবরোধ, হেলিকপ্টারে পূর্ণিমা

গাঙচিল ছবির শুটিং করতে হেলিকপ্টারে করে নোয়াখালী গেলেন পূর্ণিমা।  ছবি: সংগৃহীত
গাঙচিল ছবির শুটিং করতে হেলিকপ্টারে করে নোয়াখালী গেলেন পূর্ণিমা। ছবি: সংগৃহীত

গাঙচিল ছবির দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু হয়েছে ১৭ নভেম্বর। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট ইউনিয়নে যেতে হবে। পরিচালকসহ গোটা ইউনিট উপস্থিত। গতকাল বুধবার আসার কথা নায়িকা পূর্ণিমার। বেরও হয়েছেন তিনি। কিন্তু সড়কপথে অবরোধ। ফলে শুটিংয়ে অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ওদিকে পূর্ণিমার অপেক্ষায় শুটিং ইউনিট। কী করা। শুটিং না হলে অনেক টাকা গচ্চা দিতে হবে। পরে নোয়াখালীতে পৌঁছালেন পূর্ণিমা। তবে সড়কপথে নয়, উড়ালপথে হেলিকপ্টারে।

মুঠোফোনে নোয়াখালী থেকে পূর্ণিমা বলেন, ‘প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ভোরবেলা সড়কপথে রওনা হব। কারণ, সকাল থেকেই আমার অংশের শুটিং শুরু হবে। কিন্তু বের হওয়ার পর জানতে পারলাম, শ্রমিকেরা নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে রাস্তাঘাট অবরোধ করেছেন। এ কারণে জরুরিভাবে হেলিকপ্টারে করে এখানে এসেছি।’

শুটিং লোকেশন থেকে মুঠোফোনে ছবির পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামূল বলেন, ‘সড়কপথ অবরোধের কারণে জরুরিভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে নায়িকাকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, পুরো দিনই নায়িকার অংশের শুটিং। সকাল থেকে আমরা তাঁর অপেক্ষায় বসে ছিলাম।’

পরিচালক জানান, এই পর্বে টানা ১৫ দিন শুটিং হবে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট ইউনিয়নের গাঙচিল চরের নাম থেকেই ছবির নাম গাঙচিল রাখা হয়েছে। ছবিতে চরের মানুষের জীবনের গল্প উঠে এসেছে। ছবিটিতে এনজিওর কর্মী মোহনার চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। সাংবাদিক সাগর চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস। আরও অভিনয় করছেন আসাদুজ্জমান নূর, তারিক আনাম খান, আনিসুর রহমান মিলন ও জয়রাজ প্রমুখ।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস গাঙচিল থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হচ্ছে।