ছাড়পত্র পেয়েছে 'ন ডরাই', শুক্রবার মুক্তি

একজন নারী সার্ফারের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়ে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের গল্প। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
একজন নারী সার্ফারের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়ে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের গল্প। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গল্প ও নির্মাণে প্রশংসিত হলেও আপত্তিকর সংলাপের জন্য ‘ন ডরাই’ ছবিটি আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। অবশেষে কেটে গেছে সেই বাধা। ছাড়পত্র পেয়েছে বাংলাদেশে সার্ফিং নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ন ডরাই’। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড গতকাল সোমবার ছবিটির ছাড়পত্র দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। আগামী শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রটি।

‘ন ডরাই’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান। ছবির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সুনেরা বিনতে কামাল। জানা গেছে, ছবিটির জন্য অভিনেত্রী সুনেরা বিনতে কামাল তিন মাস সার্ফিং শিখেছেন। স্থানীয় সার্ফারদের সহযোগিতা নিয়েছেন তিনি। ‘ন ডরাই’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে তাঁর। বললেন, ‘ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের শখ ছিল। কিন্তু এমন একটি চিত্রনাট্য চেয়েছি, যা সবার মন ছুঁয়ে যাবে। এই ছবির গল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। কাজটি করে খুব ভালো লেগেছে। আশা করছি, দর্শক আমাকে গ্রহণ করবেন।’

২৯ নভেম্বর ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রটি মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। ছবি: সংগৃহীত
২৯ নভেম্বর ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রটি মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। ছবি: সংগৃহীত

ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। এর আগে এই চিত্রনাট্যকার দেবের ‘বুনোহাঁস’ এবং অমিতাভ বচ্চন ও দীপিকা পাড়ুকোনের ‘পিংক’ ছবির চিত্রনাট্য লিখে প্রশংসিত হন।

একজন নারী সার্ফারের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়ে এই ছবির গল্প। নারীর এগিয়ে যাওয়ার বার্তা আছে ছবিতে। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে তা সবাই যেন বুঝতে পারেন, সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’। এই শব্দের অর্থ ‘ভয় করি না’। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা নারীদের উৎসাহিত করবে।