অনুপম খেরের স্কুলে টয়া

টয়া। ছবি: আনন্দ
টয়া। ছবি: আনন্দ

অভিনয় করেন, আবার নৃত্যশিল্পীও। কিন্তু অভিনয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা এত দিন ছিল না তাঁর। অভিনয় নিয়ে আরও অনেকটা দূর এগোতে চান মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া। এ জন্য অনেক দিন ধরেই খোঁজ করছিলেন, কোথায় গেলে অভিনয় নিয়ে পড়া যাবে, হাতেকলমে শেখা যাবে অভিনয়ের নানান কৌশল। কিন্তু টয়ার হাতে কাজ থেকে লম্বা ছুটি নেওয়ারও সুযোগ নেই। তাই কম সময়ে ভালো একটি অভিনয়ের কর্মশালার খোঁজ করতে থাকেন। খুঁজতে খুঁজতে একসময় ভারতের মুম্বাইয়ের নামকরা অভিনয়ের স্কুল ‘অ্যাক্টর প্রিপেয়ার্স’–এর খবর পান টয়া। এটি বলিউড অভিনেতা অনুপম খেরের স্কুল। সেখানে মনের মতো একটি কোর্সও পেয়ে যান। স্কুলটি মুম্বাইয়ের জুহুতে অবস্থিত। ২১ অক্টোবর থেকে টানা এক মাসের জন্য টয়া হন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। কোর্স শেষ করে সনদ নিয়ে ১৭ নভেম্বর দেশে ফিরেছেন টয়া। এসেই প্রথম আলোকে জানালেন আবারও ছাত্রজীবনে ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা।

কোর্স শেষে প্রশিক্ষকের কাছ থেকে সনদ নিচ্ছেন টয়া
কোর্স শেষে প্রশিক্ষকের কাছ থেকে সনদ নিচ্ছেন টয়া

কেমন হলো অভিনয় শেখার কোর্স? টয়া বলেন, ‘খুব ভালো। অভিনয়ের জন্য নিজের মধ্যে ছোটখাটো কত কিছুর দিকে যে খেয়াল দিতে হয়, তা এই কোর্স থেকে শিখেছি। এত দিন যেভাবে অভিনয় করে এসেছি, তেমনিই শিখিয়েছে ক্লাসে, কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছোট ছোট কারিগরি বিষয়ের জ্ঞান। ইম্প্রোভাইজেশন, আবেগ আর অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ ও প্রকাশসহ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর ক্লাস করেছি। আমার কোর্সের শিক্ষক ছিলেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সুবীর ভাম্বানি।’

কোর্স শেষে টয়া। ছবি: সংগৃহীত
কোর্স শেষে টয়া। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় নিয়ে টয়ার পড়াশোনা শুরু হলো এই কর্মশালায় অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে। সাবেক এই লাক্স তারকা জানালেন, সামনে সুযোগ পেলে এভাবেই হুট করে ছাত্রজীবনে ফিরে যাবেন তিনি। টয়ার নাকি ইচ্ছা ছিল ‘অ্যাক্টর প্রিপেয়ার্স স্কুলে’ ছয় মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করা। তিনি বলেন, ‘ছয় মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারলে বহুমাত্রিক অভিনয়ের সাহসটা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু সময়ের অভাবে সেটা এবার হলো না। সামনে অবশ্যই হবে।’ শুধু তত্ত্বীয় নয়, ক্লাসে বসে হাতেকলমেও অভিনয় শিখেছেন টয়া। দেশে ফিরেছেন অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করে। টয়া বলেন, ‘মাত্র ৩০ দিন, কিন্তু অভিজ্ঞতা অনেক, যা আমার সঙ্গে চিরকাল থাকবে। ক্লাসে যে শিক্ষাটা দেওয়া হচ্ছে, সবাইকে আবার তা স্টেজে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিনয় করে দেখাতে হতো। আমরা একসঙ্গে অনেক ছেলেমেয়ে ক্লাসে অংশ নিয়েছি। খেয়াল করে দেখলাম সেখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীই কাজে খুব সিরিয়াস। তাঁদের কাছে কাজের মূল্য অনেক বেশি।’