আজ রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো ‘চ্যানেল আই ব্যান্ড ফেস্ট ২০১৯’। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই ভবনের চেতনা চত্বরে আয়োজিত এই উৎসবে গান গেয়েছে ১৮টি ব্যান্ড। এর মধ্যে ছিল এলআরবি, ফিডব্যাক, অবসকিউর, আর্ক, ভাইকিংস, ওয়ার সাইট, ধ্রুবতারা, দলছুট, শিরোনামহীন, পার্থিব, আরবোভাইরাস, মেকানিক্স, হইচই, সিম্ফনি, জলের গান, ব্ল্যাক মুন, তীরন্দাজ ও মেট্রিক্যাল।
দুপুরে উৎসবের মঞ্চে গান পরিবেশন করে জলের গান। গানের এই দলটি দেশীয় বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করছে। দেশীয় বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারকে উৎসাহিত করার জন্য জলের গানকে পাঁচ লাখ টাকা উপহার দেয় চ্যানেল আই। এ সময় মঞ্চে জলের গানের অন্যতম সদস্য রাহুল আনন্দ বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অনেক আনন্দের এবং সৌভাগ্যের পরম পাওয়া। আমি এই পরম পাওয়াটুকুকে উৎসর্গ করছি আমার দুই গুরু বারী সিদ্দিকী ও আইয়ুব বাচ্চুকে। যে পাঁচ লাখ টাকা জলের গানকে দেওয়া হলো, এখান থেকে এক লাখ টাকা ভালোবেসে শ্রদ্ধেয় শিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে উপহার দিলাম।’
উল্লেখ্য, দেশের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে আক্রান্ত। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে তাঁর চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার জন্য তাঁর পরিবার থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এলআরবির গাওয়া গান দিয়ে উৎসব শুরু হয় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে। কবুতর উড়িয়ে ‘চ্যানেল আই ব্যান্ড ফেস্ট ২০১৯’ উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক মুকিত মজুমদারসহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও বিভিন্ন ব্যান্ডের শিল্পীরা।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতারে সংগীতশিল্পীরা স্বাধীনতার গান গাইতেন। অনুরোধ করব সেই সব গান যেন ব্যান্ডগুলো ধারণ করে। স্বাধীনতার চেতনাকে ধরে রাখার জন্য অনুরোধ করব। আমরা যেন শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই।’
শাইখ সিরাজ বলেন, ‘ব্যান্ড সংগীতের চলমান ধারাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এখান থেকে অনেক নতুন ছেলেমেয়ে তৈরি হচ্ছে। ফিউশন মিউজিকগুলো উল্লেখ করার মতো। ব্যান্ডের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, গবেষণার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আর মুকিত মজুমদার বলেন, ‘বিজয়ের এই মাসের উদ্যাপন শুরু হচ্ছে আজ এই ব্যান্ড ফেস্টের মাধ্যমে।’
ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত এই উৎসব সরাসরি সম্প্রচার করেছে চ্যানেল আই ও চ্যানেল আই অনলাইনের ফেসবুক পেজ। উপস্থাপনা করেছেন অপু মাহফুজ ও দিলরুবা সাথী।