মঞ্চে বসে কাঁদলেন আলিয়া

বারখা দত্তের অনুষ্ঠানে নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
বারখা দত্তের অনুষ্ঠানে নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

আলিয়া ভাট গত বছর তাঁর বোনের ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে জানিয়েছিলেন, অনিদ্রা আর মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেয়েছেন শাহিন ভাট। ডিপ্রেশনের ফলে আত্মহত্যা করার দিকে পর্যন্ত ঝুঁকেছিলেন তিনি। আলিয়া ভাট আরও জানিয়েছেন, তাঁর বোন ১২ বছর বয়স থেকে মানসিক অবসাদে ভুগেছেন। আর তা ছিল তাঁর জীবনের একটি অন্ধকার অধ্যায়।

এত দিন পর আবার সেই প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি মুম্বাইয়ে বারখা দত্তের এক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অংশ নেন দুই বোন আলিয়া ভাট আর শাহিন ভাট। ওই অনুষ্ঠানে শাহিন ভাটের লেখা বই ‘আই হ্যাভ নেভার বিন (আন)হ্যাপিয়ার’ নিয়ে আলোচনা হয়।

বারখা দত্তের এক প্রশ্নে আলিয়া ভাট বলেন, ‘শাহিন ভাটের বই পড়ে তাঁর ওই বয়সের মনের অবস্থা জানতে পারি। এর আগে কখনো এ ব্যাপারে কিছুই জানতে পারিনি। আর তখন তাঁর পাশে এসে দাঁড়াতে পারিনি। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে কষ্ট পাই। মানসিক অবস্থা কতটা খারাপ হলে সে আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছে।’ এরপর কাঁদতে শুরু করেন আলিয়া ভাট। তখন আলিয়া ভাটকে সান্ত্বনা দিয়েও শান্ত করতে পারেননি শাহিন ভাট।

আলিয়া ভাটকে সান্ত্বনা দিয়েও শান্ত করতে পারেননি শাহিন ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
আলিয়া ভাটকে সান্ত্বনা দিয়েও শান্ত করতে পারেননি শাহিন ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

আলিয়া ভাট বলেন, ‘শাহিনের কষ্ট কখনো বুঝতে পারিনি। ওর বই পড়ে সব জেনেছি।’ আর এর জন্য এখন তিনি অনুশোচনায় ভুগছেন।

‘আই হ্যাভ নেভার বিন (আন)হ্যাপিয়ার’ বইটা প্রকাশিত হয় গত বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে। এরপর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে আলিয়া ভাট বলেছেন, ‘তোমার বইটা পড়েছি। তোমাকে কিছু না বলে আর থাকতে পারছি না। যখন পড়েছি, দেখেছি তুমি কত সহজে নিজের কথাগুলো বলছ! আর তোমাকে একটা চিঠি লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে, আমি যুদ্ধ করছি। একটা সময় তুমি অবসাদে ভুগেছ, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। তোমার নীরবতাগুলো ধরতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করো।’

শাহিন ভাট ও আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
শাহিন ভাট ও আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

শাহিন ভাট তাঁর ‘আই হ্যাভ নেভার বিন (আন)হ্যাপিয়ার’ বইয়ে একদিকে যেমন লিখেছেন অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা, পাশাপাশি লিখেছেন নিজের জীবনের গল্প।