সুস্থ হওয়ার পর লতার নতুন ছবি

হাসপাতালের নার্সদের মাঝে লতা মঙ্গেশকর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
হাসপাতালের নার্সদের মাঝে লতা মঙ্গেশকর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

হাসপাতালের নার্সদের মাঝে লতা মঙ্গেশকর। মুম্বাইর ব্রিচ ক্যানডি হাসপাতালে ২৮ দিন চিকিৎসার পর গত রোববার বাসায় ফিরেছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী। এরপর ইনস্টাগ্রামে এসেছে ছবিটা। হাসপাতালে এই দীর্ঘ সময় যাঁরা সেবা করেছেন, তাঁদের সঙ্গেই লতা মঙ্গেশকর। জানা গেছে, হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার পর এই ছবিটা তোলা হয়েছে।

ছবিতে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর ৯০ বছর বয়সের লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে তাঁর চোখেমুখে। এই ২৮ দিন স্বাস্থ্যের ওপর দিয়ে কতটা ঝড় বয়ে গেছে, তা তাঁর চেহারা দেখে বেশ স্পষ্ট বোঝা যায়। তবে এই ছবি প্রকাশ্যে আসার ব্যাপারটি অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা মন্তব্য করেছেন, ব্যক্তিগত ছবি এভাবে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি।

এদিকে রোববার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে দুটি টুইট করেছেন লতা মঙ্গেশকর। একটিতে তিনি লিখেছেন, ‘২৮ দিন ব্রিচ ক্যানডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার নিউমোনিয়া হয়েছিল।’ আরেকটি টুইটে তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য ব্রিচ ক্যানডি হাসপাতালের চিকিৎসক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেখানে তিনি ছয়জন চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করেছেন।

গত ১১ নভেম্বর রাতে বাসায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লতা মঙ্গেশকরকে ব্রিচ ক্যানডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর বার্তা সংস্থা পিটিআইকে মুম্বাইর ব্রিচ ক্যানডি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, লতা মঙ্গেশকর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। হাসপাতাল কিংবা পরিবার থেকে পরিষ্কার করে কেউ কিছু না বললেও ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে, ওই সময় তাঁকে নাকি লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

লতা মঙ্গেশকর যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তখন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টুইটারে অনেকেই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচার করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তখন তাঁর ভাইয়ের মেয়ে রচনা শাহ পিটিআইকে বলেছেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। তিনি ভালো আছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’

গত ২০ সেপ্টেম্বর ৯০ বছর পূর্ণ করেছেন লতা মঙ্গেশকর। ২০০১ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ পান। সাত দশক ধরে ৩০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি।