প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছি, অপেক্ষা করছি কী উত্তর আসে: অনন্ত হিরা

অনন্ত হিরা।  ছবি: প্রথম আলো
অনন্ত হিরা। ছবি: প্রথম আলো
>

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রাঙ্গণেমোরের আয়োজনে চলছে ১১তম ‘দুই বাংলার নাট্যমেলা’। উৎসব, নাটক ও দলের কাজ নিয়ে কথা বললেন প্রাঙ্গণেমোরের নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা অনন্ত হিরা।

এই উৎসব আয়োজনের সার্থকতার দিকটা বলুন...
দুই বাংলার নাট্যমেলা নামকরণটি এ কারণে করেছিলাম যে বাংলাদেশে ও কলকাতায় বাংলা ভাষায় থিয়েটার চর্চা বেশি হয়। সারা পৃথিবীতে আমরা বাংলায় কথা বলি, বাংলায় থিয়েটার চর্চা করি। এর বাইরে যা আছে, তা বিচ্ছিন্ন। কলকাতায় থিয়েটার চর্চারও একটা দীর্ঘ ধারাবাহিক ঐতিহ্য আছে। আমাদের শুরু থেকেই মনে হয়েছে, বাংলা থিয়েটারের চর্চা হয় এমন দুই দেশের নাট্যসংস্কৃতির
আদান–প্রদান উভয়কেই সমৃদ্ধ করবে। সেটি হচ্ছেও। আমরা অন্তত কলকাতার কিছু ভালো নাটক বাংলাদেশি দর্শকদের দেখাতে পারছি। অনেকেই কলকাতার নাটক আনেন বিনিময় হিসেবে। আমরা এই বিনিময়ে একেবারেই বিশ্বাস করি না। এতে দর্শকদের ঠকানো হয়। আমরা এটা করিনি। প্রাঙ্গণেমোরের দুই বাংলার নাট্যমেলা মানে কিছু ভালো নাটক। এ নাট্যমেলা দর্শকের কাছে সেই আস্থা অর্জন করেছে।

এ বছরে উৎসবের বিশেষত্ব কী?
আমরা প্রতিবছরেই একটা থিম ধরার চেষ্টা করি। এবার আমরা প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটা গান থেকে ‘আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি’ থিম নিয়েছি। আমরা উৎসব সংগীত করেছি। ভারত ও দিল্লি থেকে বেশ কয়েকটি ভালো নাটক যুক্ত করেছি।

আপনারা সেমিনার করবেন ‘থিয়েটারের সংকট-দর্শক না ভালো নাটক’ এ বিষয়ে। আপনার কাছে থিয়েটারের সংকট কী?
এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দিতে চাই না। কারণ, এটি এখন জলজ্যান্ত প্রশ্ন। আমরা বলছি, দর্শকের সংকট আছে কিন্তু আমরা দায় কি নিচ্ছি? দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী ভালো নাটক কি দিতে পারছি? এই প্রশ্ন শুধু আমাদের না, সিরিয়াসলি যাঁরা নাটক করেন তাঁদের সবার। আমরা প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছি। অপেক্ষা করছি কী উত্তর আসে তার।

আপনারা নাট্যযোদ্ধার সহযোদ্ধা সম্মাননা দিচ্ছেন...
এটি এই উৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা নাট্যজনদের সহধর্মিণীদের সম্মানিত করছি। একটা উদাহরণ দিই, মামুন ভাই (মামুনুর রশীদ) নাট্যাঙ্গনে ৫৮ বছর যাবৎ কাজ করছেন। ভাবির (গওহর আরা চৌধুরী) সঙ্গে মামুন ভাইয়ের দাম্পত্য জীবন ৪৭ বছরের। এত বছর ধরে মামুন ভাইয়ের সঙ্গে থাকা এই মানুষটার তো একটা ভূমিকা আছে। তেমনি শাহিদা রহমান (আতাউর রহমানের স্ত্রী), কৃষ্টি হেফাজেরও (লিয়াকত আলী লাকীর স্ত্রী) ভূমিকা আছে। এটাকে আমি মনে করি, ঢাকার নাটকের মানুষের একটা উদ্যাপন হবে।