বিয়ের ৩৫৯ দিন পর বিচ্ছেদের ঘোষণা

শ্বেতা বসু প্রসাদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
শ্বেতা বসু প্রসাদ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

শ্বেতা বসু প্রসাদ দর্শকদের কাছে বেশি পরিচিত ‘মাকড়ি’ (২০০২) ছবির জন্য। সেই ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী বিভাগে ভারতের ৫১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এই একটি ছবিতে অভিনয় করে তিনি স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস, আইফা অ্যাওয়ার্ডস ও ডিজনি অ্যাওয়ার্ডস জিতেছেন। এ ছাড়া ‘ইকবাল’ (২০০৫) ছবির জন্য পেয়েছেন স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস, করাচি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শ্রেষ্ঠ সহ–অভিনেত্রীর পুরস্কার, জি সিনে অ্যাওয়ার্ডস ও পোগো অ্যাওয়ার্ডস। হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও বাংলা ভাষার ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয় হন শ্বেতা বসু প্রসাদ। এ ছাড়া তিনি অভিনয় করেছেন টিভি সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজে।

গত বছর টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা বসু প্রসাদ বলেছেন, পরিচালক রোহিত মিত্তালের সঙ্গে চার বছর ধরে প্রেম করেছেন। ২০১৭ সালে গোয়ায় রোহিত মিত্তালকে তিনিই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে পুনেতে শ্বেতা বসু প্রসাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান রোহিত মিত্তাল। অবশেষে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর পুনেতে হিন্দু ও মারওয়ারি রীতি মেনে তাঁরা বিয়ে করেছেন।

শ্বেতা বসু প্রসাদ ও রোহিত মিত্তালের বিয়ের ছবিটি নেওয়া হয়েছে ইনস্টাগ্রাম থেকে
শ্বেতা বসু প্রসাদ ও রোহিত মিত্তালের বিয়ের ছবিটি নেওয়া হয়েছে ইনস্টাগ্রাম থেকে

বিয়ের পর বছর না ঘুরতেই একটি খবরে হতাশ হন শ্বেতা বসু প্রসাদের ভক্ত আর দর্শকেরা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আজকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৩৫৯ দিনের মাথায় গত সোমবার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে শ্বেতা বসু প্রসাদ লিখেছেন, ‘রোহিত মিত্তাল আর আমি আলাদা থাকছি এবং আমরা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গত কয়েক মাস বিষয়টা নিয়ে আমরা ভেবেছি, এরপর যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, এভাবে আমরা ভালো থাকব।’

শ্বেতা বসু প্রসাদ আরও লিখেছেন, ‘রোহিতের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। সুন্দর অনেকগুলো মুহূর্ত আছে আমাদের। তাঁর কাছ থেকে সব সময় অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এত দিন আমার পাশে থাকার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। জীবনের সব বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে, এমন তো নাও হতে পারে। কিছু বই নাহয় অসম্পূর্ণই থাকুক। কিন্তু সেই বইটা ভালো ছিল না, এমনটা ভাবা ঠিক হবে না।’