অনুস্বর নিয়ে এল 'বন্ধ ঘড়ি'

অনুস্বর-এর ‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক
অনুস্বর-এর ‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক

‘মানুষের মুক্তি, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ আর সুন্দরের আরাধনা অনুস্বর-এর স্বপ্ন। এই স্বপ্ন প্রকৃত অর্থে মানুষেরই। অনুস্বর-এর নাট্য অভিযাত্রায় মানুষই মুখ্য।’ এমন ঘোষণা দিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে যাত্রা শুরু করে নাটকের নতুন দল অনুস্বর। থিয়েটার আর্ট ইউনিট থেকে ২৭ সদস্য বেরিয়ে মোট ২৮ জন নিয়ে নতুন এই দল গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রথম প্রযোজনা ‘অনুদ্ধারণীয়’। ২১ সেপ্টেম্বর এই নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন প্রশংসিত হয়। অনুস্বর নিয়ে এসেছে তাদের দ্বিতীয় প্রযোজনা পথনাটক ‘বন্ধ ঘড়ি’। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বিজয় উৎসবে নাটকটির উদ্বোধন হয়।

‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সুমন মজুমদার ও সাকিল সিদ্ধার্থ।
‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সুমন মজুমদার ও সাকিল সিদ্ধার্থ।

‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সুমন মজুমদার ও সাকিল সিদ্ধার্থ। নাট্যকার সুমন মজুমদারের লেখা এই পথনাটকটিতে মূলত অতীত, বর্তমান ও ভাবীকালের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই তিন সময়ের বহমান ধারার পরতে পরতে লেপ্টে থাকা সব ঘটনা মহাকালের ঘড়ি ঠিক ঠিক লিখে রাখে তার কাঁটায়। অথচ বিস্মৃতিপরায়ণ মানুষ ঘড়ির দিকে তাকিয়েও বারবার ভুলে যায় সময়কে; ইতিহাসকে। সেই দায় থেকেই এক বাবা তাঁর চারপাশে ঘটমান সব ক্ষণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বন্দী করে রাখেন ঘড়িতে। সময় তথা ইতিহাস মনে রাখা এই ঘড়ি পরম্পরা তিনি দিয়ে যেতে চান নিজের সন্তানকে। কিন্তু সন্তান চায় সময় ‘তাকে’ নয়, বরং ‘সে’ই সময়কে নিয়ন্ত্রণ করবে। অসুন্দরকে পরাস্ত করতে সে মিশে যায় প্রতিবাদী অসংখ্য তরুণের ভিড়ে, যারা নিস্তেজ, নিষ্ফল ও শীতল ছায়া এড়িয়ে সূর্য স্পর্শ করার স্পর্ধায় অগ্রসরমাণ থেকেছে বারবার।

‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকের দল অনুস্বরের দ্বিতীয় প্রযোজনা।
‘বন্ধ ঘড়ি’ নাটকের দল অনুস্বরের দ্বিতীয় প্রযোজনা।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রুবেল অরভিল, এস আর সম্পদ, মাজেদুল মিঠু, সরকার জামান, মোহাম্মদ রাকিব, আবির সায়েম ও কীর্তি বিজয়া। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন আবির সায়েম। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন কীর্তি বিজয়া, কোরিওগ্রাফি এস আর সম্পদ। নাটকে নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছেন মোহাম্মদ বারী, প্রশান্ত হালদার ও মাজেদুল মিঠু।

নাট্যকার সুমন মজুমদারের লেখা এই পথনাটকটিতে মূলত অতীত, বর্তমান ও ভাবীকালের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
নাট্যকার সুমন মজুমদারের লেখা এই পথনাটকটিতে মূলত অতীত, বর্তমান ও ভাবীকালের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।