সাবিনা ইয়াসমীনের নেতৃত্বে গাইলেন নবীনেরা

সাবিনা ইয়াসমীনের নেতৃত্বে নবীন শিল্পীরা গাইলেন দেশের গান। ছবি: প্রথম আলো
সাবিনা ইয়াসমীনের নেতৃত্বে নবীন শিল্পীরা গাইলেন দেশের গান। ছবি: প্রথম আলো

একঝাঁক শিল্পী জাতীয় নাট্যশালার মঞ্চে। তাঁদের মাঝে হারমোনিয়াম হাতে আলো ছড়াচ্ছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। হারমোনিয়ামে তিনি সুর তুলে গাইলেন, জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাকো...। নবীনেরা অনুসরণ করলেন সাবিনা ইয়াসমীনকে, মেলালেন কণ্ঠ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপনে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। মুজিব বর্ষের সেই বিশাল আয়োজনের অংশ হিসেবে সারা দেশ থেকেই বাছাই করা হয়েছে ছয় শতাধিক প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী। সেসব প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের নিয়ে একাডেমি আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন হয় বৃহস্পতিবার। দেশবরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা।

সমবেতরা দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। ছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে।
সমবেতরা দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। ছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে।

বৃহস্পতিবার সকালে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মঞ্চটি সাজানো হয় লাল-সবুজ নানা অনুষঙ্গে। শিল্পীরা পোশাকে ধারণ করেছিলেন রং দুটি। সেই পতাকার রং মেখে তাঁরা গাইলেন দেশের গান, মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণাদায়ী সংগীত। এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের প্রশিক্ষক বরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, প্রশিক্ষক নই।’ ছবি: প্রথম আলো
সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, প্রশিক্ষক নই।’ ছবি: প্রথম আলো

সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, প্রশিক্ষক নই। তারপরও সবার অনুরোধে আমি প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সুযোগ পাওয়ায় আমি অনুপ্রাণিত বোধ করছি।’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘ললিতকলা, চারুকলা ও সংস্কৃতির বিশেষ ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনের উদ্দেশ্যে শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিভাবান শিল্পীদের অনুসন্ধান করে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ওপর অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের মেধা বিকাশ ও পরিপূর্ণ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে বছরব্যাপী যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তাকে আমি স্বাগত জানাই। আশা করছি, এ কর্মসূচির মাধ্যমে এসব প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের মধ্য হতে আমাদের আগামী দিনে সাবিনা ইয়াসমীন ও রুনা লায়লার মতো খ্যাতিমান শিল্পীরা বেরিয়ে আসবেন।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ছবি: প্রথম আলো
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ছবি: প্রথম আলো

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। যাতে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের নেতৃত্বে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’, ও ‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাঁড়িয়ে’ শিরোনামের গান। এ ছাড়া তাঁরা গেয়ে শোনান ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের’, ‘আকাশভরা সূর্যতারা’ এবং ‘ও যার আপন খবর আপনার হয় না’ গানগুলো।