এ টি এম শামসুজ্জামানের অবস্থা সংকটাপন্ন

এ টি এম শামসুজ্জামান। ছবি: প্রথম আলো
এ টি এম শামসুজ্জামান। ছবি: প্রথম আলো

আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। তাঁর শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কথা বলছেন না। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না। তাঁকে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনা জামান প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

রুনা জামান জানান, গতকাল শুক্রবার থেকেই এ টি এম শামসুজ্জামানের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। চলাফেরা করতে পারছেন না। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। গতকাল রাতভর এমন অবস্থা ছিল। পরে আজ দুপুরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানকার মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক আতিকুর রহমানের পরামর্শে এ টি এম শামসুজ্জামানকে নিউরোমেডিসিন বিভাগের অধীনে ভর্তি করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে দুবার উনি আমার অধীনে ভর্তি ছিলেন। এবার ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করেছেন। শরীরের এক পাশ অবশ। একটি চোখের এক পাশে ভাইরাল অ্যাটাক হয়েছে। শারীরিক অবস্থা বেশি দুর্বল। সবকিছু বিবেচনায় আমরা ওনাকে নিউরোমেডিসিন বিভাগের অধীনে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি। বর্তমানে তিনি নিউরোমেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের অধীনে ভর্তি আছেন।’

এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দূর দেখছি এবং বুঝেছি বাবার মূল সমস্যার চিকিৎসা এখনো শুরুই হয়নি। কেননা, বেলা দুইটার পর এখানকার বড় ডাক্তাররা চলে যান। আশা করছি, কাল রোববার দেখে বাবার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বড় ডাক্তাররা।’

এ বছরের ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। সেদিনও খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সেই রাতে তাঁকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছু শারীরিক জটিলতা হয়। টানা ৫০ দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৫ জুন তাঁকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিছুদিন সেখানে ছিলেন। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা দেখা গেলে এ টি এম শামসুজ্জামানকে জরুরি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থা একটু ভালো হলে পরে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।