ফ্রি শো চলতে থাকলে সর্বনাশ হয়ে যাবে: শাফিন আহমেদ

>ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের ৩ নম্বর মিলনায়তনে কনসার্টের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে ব্যান্ড মাইলস–এর ৪০ বছর পূর্তি উৎসব। আজকের আয়োজন নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন দলটির অন্যতম সদস্য শাফিন আহমেদ। এদিকে কাছাকাছি জায়গা বসুন্ধরা এক্সপো জোনে অনুষ্ঠিত হবে আরেক জনপ্রিয় গানের দল আর্টসেল–এর ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান।
শাফিন আহমেদ
শাফিন আহমেদ

৪০ বছর পূর্তি উদযাপনের কনসার্ট নিয়ে নিশ্চয় খুব ব্যস্ত সময় কাটছে আপনাদের?
ব্যস্ত মানে, ব্যাপক ব্যস্ত। এই আয়োজনের ফাঁকে গত দুই দিন সিলেটে ও রাজশাহীতে দুটো স্টেজ শো করেছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সিলেট থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে আরেক গেট দিয়ে বের হয়ে রাজশাহীর বিমান ধরতে হয়েছে। বাসায়ও ফিরতে পারিনি।

৪০ বছরে এসে মাইলস কি তাহলে আরও বেশি চাঙা?
মাইলস চাঙা ছিল না কবে? আজ তো একটু আগে দেখলাম, কনসার্টের সব টিকিট বিক্রি শেষ। ২ হাজার ৫০০ টাকার টিকিট, ভিআইপি তো ৫ হাজার—কোনো টিকিটই নেই। পরিচিতদেরও দিতে পারিনি।

এত লম্বা সময় ধরে এতটা দাপটের সঙ্গে একটা ব্যান্ডের পথচলার সবচেয়ে বড় শক্তি কী?
নিজেদের উন্নতির চেষ্টায় আমাদের কোনো দিন কখনোই ঘাটতি ছিল না। সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিজেদের আপগ্রেড করেছি। সর্বশেষ শো পর্যন্ত দর্শক–শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টাই করেছি। সংগীত আর শ্রোতাদের সঙ্গে লয়্যাল থেকেছি। কখনোই শর্টকাট কিছু করার চেষ্টা করিনি। দর্শক যা আমাদের কাছে চেয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

৪০ বছর পূর্তির শেষ অনুষ্ঠানে কি চমক থাকছে?
শ্রোতাদের জন্য ভিন্ন রকম কিছু গান করব, যেগুলো সচরাচর করা হয় না। আমাদের গীতিকারেরা এই আয়োজনে কথা বলবেন। ভক্তরাও কথা বলবেন মাইলসের গানের সঙ্গে তাঁদের জীবনের সম্পৃক্ততা নিয়ে। তিনজন ভক্ত নিয়ে একটা গান করব। সাড়ে তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠানে ৩০ মিনিট অ্যাকুস্টিক আনপ্লাগড সেশন থাকবে। আর এই আয়োজনে আমাদের গান গাইবে সোলস, ফিডব্যাক, ওয়ারফেজ, দলছুট ও ভাইকিংস। আমাদের গান গাওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচটি ব্যান্ড যে উদারতা দেখিয়েছে, তাতে কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া কিছু বলার নেই। প্রতিটা ব্যান্ড খুবই ব্যস্ত, এর মধ্যেও আমাদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে তারা একবাক্যে আমাদের গান গাইতে রাজি হয়েছে। একে অপরের গান আরও বেশি করা উচিত। দেশের বাইরে এমনটা কিন্তু অনেক হয়।

কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে ব্যান্ড মিউজিক আবার বেশ উজ্জীবিত
দর্শক–শ্রোতাদের কাছে ব্যান্ড মিউজিকের জনপ্রিয়তা ছিল, আছে এবং থাকবে। কয়েক বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বড় বড় কনসার্ট হচ্ছে, বিনা পয়সায়। এসব কারণে বাণিজ্যিকভাবে বড় কনসার্ট আয়োজনে কেউ এগোতে চায় না। মানুষ ফ্রি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। ফ্রি ব্যাপারটাই ক্ষতি করেছে। ফ্রি শো এভাবে চলতে থাকলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। টাকার বিনিময়ে শো বেশি হওয়া উচিত।

ব্যান্ড সংগীতে এ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কেমন?
অনেক ব্যান্ডের সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে পারলেই চলবে।