পঁয়ত্রিশ বছর পর বেবী নাজনীনের গজলসন্ধ্যা

৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘বেবী নাজনীনের একক গজলসন্ধ্যা-সাম ই গজল’। ছবি: ফেসবুক থেকে
৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘বেবী নাজনীনের একক গজলসন্ধ্যা-সাম ই গজল’। ছবি: ফেসবুক থেকে

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ঢাকায় একক গজলসন্ধ্যায় অংশ নিয়েছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন। মাঝে দেশ–বিদেশে অগণিত অনুষ্ঠানে গান করলেও শুধু গজল নিয়ে একক আসরে গান করা হয়নি। এবার স্মৃতিজাগানিয়া একক গজলসন্ধ্যার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের বেলোজিনোতে ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘বেবী নাজনীনের একক গজলসন্ধ্যা-সাম ই গজল’। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয়োজক আলমগীর খান আলম জানান, আমেরিকায় বাংলাদেশি কোনো তারকার গজলসন্ধ্যা এটাই প্রথম। তিনি বলেন, ‘বহুমাত্রিক গানের শিল্পী বেবী নাজনীনের অনেক গান রয়েছে। সেই সব গান সবাই সব সময় শোনেন। তিনি যে রবীন্দ্র, নজরুল, হিন্দি, উর্দু এবং গজলেও পারদর্শী, সেটি অনেকেই জানেন না। মূলত সেই ভাবনা থেকেই এই গজলসন্ধ্যার আয়োজন করেছি আমরা।’

বেবী নাজনীন। ছবি: ফেসবুক থেকে
বেবী নাজনীন। ছবি: ফেসবুক থেকে

যোগাযোগ করা হলে অনুষ্ঠান বেবী নাজনীন বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আমার প্রথম একক গজলসন্ধ্যা। ৯০ দশকের শুরুতে হওয়া সেই সন্ধ্যাটি আমার ক্যারিয়ারে মাইলফলক হয়ে আছে। এরপর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের অনেক অনুষ্ঠানেই গজল পরিবেশনা করেছি। আসলে কোনো গান কোথায় গাইব এটা নির্ভর করে কোন ধরনের শ্রোতার সামনে আমি উপস্থিত হচ্ছি। তবে এবারের আয়োজনটি শুধু গজলকে কেন্দ্র করেই। যে কারণে এবারের প্রস্তুতিটাও নিতে হচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। সব মিলে এটি একটি সুন্দর অনুষ্ঠান হবে বলে আশাবাদী আমি।’

সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত বাংলাদেশের অন্যতম সংগীতশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের চিকিৎসা সহায়তার জন্য শো টাইম মিউজিক একটি চ্যারিটি শোর আয়োজন করে নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে। যেখানে অন্যতম শিল্পী ছিলেন বেবী নাজনীন।

বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, অডিও এবং মঞ্চ মাধ্যমের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ‘এলোমেলো বাতাসে’, ‘রংধনু থেকে’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘দু চোখে ঘুম আসে না’, ‘কাল সারা রাত ছিল’, ‘ও বন্ধু তুমি কই’, এমন অনেক জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে সংগীতপ্রিয় মানুষের মাঝে একটি শক্ত অবস্থান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ‘কৃষ্ণহীরক’ এবং ‘উত্তরবঙ্গের দোয়েল’ নামেও ডাকা হয় বেবী নাজনীনকে।