ফরাসি তরুণের জীবন বাঁচালেন ডি-ক্যাপ্রিও

লিওনার্দো ডি–ক্যাপ্রিও। ছবি: রয়টার্স
লিওনার্দো ডি–ক্যাপ্রিও। ছবি: রয়টার্স

ঘটনা ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের। ‘টাইটানিক’–এর সেই জ্যাকের মতোই সাগরে একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন অস্কারজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডি–ক্যাপ্রিও। ‘টাইটানিক’–এ তো নিজে মরে গিয়েছিলেন। এবার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন এক ব্যক্তিকে। ইনসাইডারের প্রতিবেদন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

৪৫ বছর বয়সী এই হলিউড অভিনেতা যা করলেন, তা বড় পর্দার কোনো টান টান উত্তেজনাপূর্ণ উদ্ধারদৃশ্য থেকে কম নয়। প্রেমিকা ক্যামিলা মরোন আর কিছু বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট বার্টস শহরের বুকে ক‌্যারিবীয় সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন লিও। একটি জাহাজ ভাড়া করে সমুদ্রে ঘুরছিলেন তাঁরা। সেখানেই তিনি একটি ইমার্জেন্সি রেডিও সংকেত পান। যার মানে, আশপাশেই কারও জীবন হুমকির মুখে। তাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন, লোকটিকে খুঁজে বের করে তাঁর জীবন বাঁচাবেন।

প্রেমিকার সঙ্গে লিওনার্ডো ডি–ক্যাপ্রিও। ছবি: রয়টার্স
প্রেমিকার সঙ্গে লিওনার্ডো ডি–ক্যাপ্রিও। ছবি: রয়টার্স

মদ্যপ অবস্থায় একজন ফরাসি লোক জাহাজ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁর নাম ভিক্টর। বয়স ২৪ বছর। জাহাজের ক্যাপ্টেন সাইরেন বাজিয়ে অন্যদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, যে তাঁকে বাঁচাতে যাবেন, তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়ে যাবে। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা ধরে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ইনসাইডারকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘লোকটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল ১০০ কোটিতে ১ ভাগ। অনেকটা পরপর দুবার লটারি জেতার মতো।’

সূর্য ডোবার ঠিক আগে সাবা আইল‌্যান্ডের কাছে ভিক্টরকে দেখতে পান লিও। সেই সময়ই একটি বিশাল ঢেউ আর একটু হলেই মদ‌্যপ, প্রায় সংজ্ঞাহীন ভিক্টরের ওপর আছড়ে পড়ছিল। কিন্তু লিওনার্দো দ্রুত সেখানে সাঁতরে পৌঁছে ভিক্টরকে আঁকড়ে ধরে তাঁকে বাঁচান। প্রত‌্যক্ষদর্শীদের কথায়, লিওনার্দো বিশ্ববিখ‌্যাত হলিউডের তারকা হওয়া সত্ত্বেও একজন সাধারণ মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঠিক যে মুহূর্তে ভিক্টর ডুবে যাচ্ছিলেন, তখনই লিও গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।

লোকটিকে জীবিত ফিরে পাওয়া যাবে, সেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন সবাই। ভক্তরা বাহবা দিয়ে বলছেন, কেবল বড় পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও ‘হিরো’ হিসেবে নিজের প্রমাণ দিলেন লিওনার্দো ডি–ক্যাপ্রিও।