নাটক নিয়ে ভালো-মন্দ বলাটাই বিব্রতকর

চঞ্চল চৌধুরী।  ছবি: প্রথম আলো
চঞ্চল চৌধুরী।  ছবি: প্রথম আলো
>

অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরীর কণ্ঠে শোনা যাবে রবীন্দ্রসংগীত। শিগগিরই নিজের ইউটিউবে ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানটির ভিডিও প্রকাশিত হবে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের অডিশন দিতে ঢুকছিলেন। বের হয়ে জানালেন নতুন সিনেমা, নাটক ও গান নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা।

হঠাৎ রবীন্দ্রসংগীত গাইলেন?
হঠাৎ নয়, অনেক দিন আগে ফুয়াদের সংগীতায়োজনে একটি নাটকের জন্য গানটি গেয়েছিলাম। কিছুদিন আগে ল্যাপটপে গানটি খুঁজে পাই। ভাবলাম, আমার ইউটিউবে প্রকাশ করলে মন্দ হয় না। তাই ঘষেমেজে তৈরি করছি। শিগগিরই ভিডিও আকারে প্রকাশ করব।

বঙ্গবন্ধু বায়োপিক প্রসঙ্গ। কোন চরিত্রের জন্য অডিশন দিলেন?
নির্দিষ্ট কোনো চরিত্রের জন্য নয়। অডিশন বোর্ড তাদের মতো স্ক্রিপ্ট হাতে ধরিয়ে পড়তে বলেছে। একেকটা চরিত্রের জন্য কয়েকজনের অডিশন নেওয়া হচ্ছে। জ্যেষ্ঠ এবং তরুণ সব ধরনের অভিনয়শিল্পী অডিশন দিচ্ছেন।

গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘পাপপুণ্য’ এবং মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ ছবির শুটিং শেষ?
দুটি ছবির কাজ ব্যাক টু ব্যাক করেছি। ৩৫ দিন পাপপুণ্য, এর ঠিক ১০ দিন পর ৪৫ দিন ধরে হাওয়া ছবির শুটিং করেছি। ডাবিং শেষ। এখন হয়তো আরেকবার দেখার জন্য যেতে পারি।

ডাবিংয়ের সময় শুটিংয়ের দৃশ্যগুলো দেখেছেন। কেমন লাগল নিজের অভিনয়?
পাপপুণ্য ছবির গল্পের ধরন এক রকম, হাওয়া অন্য রকম। দুটোতেই অভিনয়ের অনেক বেশি সুযোগ ছিল। ডাবিং করার সময় অভিনয় দেখে ভালো লেগেছে। দুই-আড়াই ঘণ্টা দর্শক ধরে রাখার যথেষ্ট উপাদান আছে।

দুটি সিনেমায় আপনার অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দেবেন কি?
পাপপুণ্যতে সৎ ও নিষ্ঠাবান চেয়ারম্যান আর হাওয়াতে মাঝি। হাওয়া ছবির পুরো শুটিং শেষ নৌকায়।

জেলেদের জীবন প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা আছে...
আমার বাড়ি পদ্মা নদীর পাড়ে। নৌকা, মাঝি, মাছ ধরা, জেলে—এই পরিবেশের সঙ্গে জন্মের পর থেকেই পরিচয়।

নিজের অভিনীত দুটি ভালো ছবির খবর দিলেন। সিনেমার জন্য ভালো সময় আসছে মনে হয়?
দর্শক যদি প্রেক্ষাগৃহে আসে, ২০২০ সাল হবে চলচ্চিত্রের। আমার জানামতে, এ বছর ১০টার মতো ভালো সিনেমা মুক্তি পাবে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিনেমার জন্য ভালো সংবাদ। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই সিনেমাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

নাটকের অবস্থা কেমন গেল। এ বছর কেমন আশা করছেন?
নাটক নিয়ে ভালো-মন্দ বলাটাই বিব্রতকর। নাটকের মানুষের হাতে নাটক নেই। যোগ্য মানুষের কাজ কমে যাচ্ছে। বাংলা নাটকের যে ঐতিহ্য ছিল, চার-পাঁচ বছর ধরে তা হারাচ্ছি। নাটক এখন চুক্তিতে চলছে। চ্যানেল আর এজেন্সি থেকে পরিচালকেরা চুক্তিতে নাটক নিচ্ছেন। যখন চুক্তিতে নাটক নিচ্ছেন, তখন এর সঙ্গে শিল্প বাদে অন্য সব হিসাব-নিকাশও জড়িত। এই হিসাব-নিকাশের কারণে অল্প সময়ে বেশি শুটিং ফুটেজ নামানোর চিন্তা সবার। যত দিন পর্যন্ত পরিচালকের সম্মানীপ্রথা ছিল, ভালোভাবে কাজ হয়েছে। কয়েক বছরে ১০-২০টা ভালো কাজ হয়তো হচ্ছে, কিন্তু অনেক বেশি মানহীন নাটকের কারণে ভালো কাজ আড়াল হয়ে যাচ্ছে।