করণের এই প্রথম, এই শেষ
রোমান্টিক ড্রামায় বলিউডে করণ জোহরের জুরি মেলা ভার, কিন্তু ভূতের গল্পের বেলায়? ‘কাভি খুশি কাভি গম’, ‘দোস্তানা’, ‘মাই নেইম ইজ খান’ বা ‘কলঙ্ক’খ্যাত এই পরিচালক নেটফ্লিক্সের জন্য বানিয়েছেন অমনিবাস সিনেমা—‘গোস্ট স্টোরিজ’। করণ জোহর, জোয়া আখতার, দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুরাগ কাশ্যপ ভূতবিষয়ক চারটি পৃথক গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন এই ছবি। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এল ১ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা আর ওয়েব প্ল্যাটফর্ম নিয়ে করণের নানা অভিজ্ঞতা আর অনুভব।
আপনি ওয়েব প্লাটফর্মের জন্য নির্মাণ ও প্রযোজনা করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বিশেষ দিক কী?
গল্পকার ও নির্মাতাদের জন্য একটা বিপ্লবের জোয়ার এনেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। লেখকদের ক্ষমতাশীল করেছে। এখন আর কিছু লিখতে বা বানাতে আর কোনো বাধা নেই। সবকিছুই বেশ সহজ আর নিশ্চিত হয়েছে।
আপনার প্রযোজিত ‘ড্রাইভ’ ছবিটি তো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভালো করল না। বড় পর্দায় মুক্তি দিতে না পারার আক্ষেপ আছে?
ছবিটি প্রথমে হলেই মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। তারপর ভাবলাম, বিশ্ব যেভাবে এগোচ্ছে, এই গল্প ও নির্মাণের জন্য ওয়েব প্ল্যাটফর্মই ভালো জায়গা। এটা খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। এভাবেই প্রথা ভাঙতে হয়। যা হয়েছে, হয়েছে।
আপনার ‘গোস্ট স্টোরিজ’ কিন্তু ঠিক ‘করণ জোহর টাইপ’–এর না। আপনার কেমন লাগল ছবিটি বানাতে?
আমি এই হরর ধরন ঠিক বুঝি না। সত্যি কথা বলতে কি, আর এমন হবে না। মানে, আমি আর ভূতের ছবি বানাব না। আমি দর্শক হিসেবে ভূতের ছবি দেখতে পছন্দ করি না। তাহলে নির্মাতা হিসেবে কীভাবে ভালো লাগবে? এটাই প্রথম, এটাই শেষ।
বেশি চ্যালেঞ্জিং?
তা আর বলতে! একেবারে নিজের নিরাপদ বলয় থেকে বেরিয়ে এ রকম গল্প বলা খুবই অনিরাপদ অনুভূতি দেয়। তবে প্রত্যেক নির্মাতার এ রকম অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। কারণ, সে সময় তাঁরা নিজেদের ভেতরকার সচরাচর সত্তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। আমার ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এটিই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
হলে অমনিবাস ছবি খুব একটা দেখা যায় না কেন?
ধরনটা একটু ভিন্ন। আপনি হল থেকে একটু বের হলেন বা পাশের মানুষটার সঙ্গে গল্প করলেন, আর মেলাতে পারবেন না কী হলো, কী হচ্ছে! আর গল্পগুলোও এমন যে মানুষ ব্যক্তিগতভাবে দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।