নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে তাহসানের যে কথা হয়েছিল

শুটিংয়ের এক ফাঁকে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে তাহসান খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শুটিংয়ের এক ফাঁকে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে তাহসান খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী তাহসান খান। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শো করেছেন। হেঁটেছেন মেক্সিকোর ক্যানকুন শহরের রাস্তায় আর সূর্যাস্তের সমুদ্রপারে। শিল্পীর কল্পনার মতো সুন্দর সব লোকেশনে নিজের গানের মিউজিক ভিডিওর জন্য ফুটেজ নিতেও ভোলেননি। তাহসানের ইনস্টাগ্রামে একবার ঢুঁ দিলেই সেসবের আভাস মেলে। ঢাকায় পা রেখেই বিশ্রামের কথা ভুলে গিয়ে মন দিতে হয়েছে শুটিংয়ে। রোমান্টিক ইমেজের এই মানুষটিকে দেখা যাবে ভালোবাসা দিবসের তিন নাটকে। বাদ থাকবে না গানও। সুস্মিতা আনিসের সঙ্গে ‘স্মৃতির ফানুস’ নামে ভক্তদের একটি গানও উপহার দেবেন।

তাহসান হেঁটেছেন মেক্সিকোর সমুদ্রপারে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তাহসান হেঁটেছেন মেক্সিকোর সমুদ্রপারে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তাহসানের সঙ্গে কথোপকথনের শুরুতেই জানতে চাইলাম ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবিতে নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে। কী আলাপ করলেন ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’, ‘স্যাকরেড গেমস’খ্যাত নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে? জানালেন, অনেক আলাপই হয়েছে। তার মধ্যে নওয়াজুদ্দিনের একটা কথা তাঁর খুব ভালো লেগেছে, মনে নিয়েছেন। শোনা যাক তাহসানের মুখেই: ‘নওয়াজুদ্দিন একদিন বললেন... নামটা না নিই। ধরুন, বলিউডের সবচেয়ে ধনী, সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। বললেন, তাঁর হয়তো বড় পর্দায় একধরনের “ইমেজ” তৈরি হয়েছে। তিনি চাইলেই যেকোনো চরিত্র করতে পারেন না। কারণ, তাঁকে অনেক কিছু ভাবতে হয়। “হিট” নিয়ে ভাবতে হয়। লোকে কীভাবে নেবে, সেসব ভাবতে হয়। চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর অনেক সীমাবদ্ধতা। একটা ছবি ফ্লপ হলেই লোকে সেটা নিয়ে আলাপ করে। তাই, অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাঁর আত্মতৃপ্তির সুযোগ কম। তাঁর শিল্পসত্তা সার্থক নয়; কারণ, তিনি স্বাধীন নন। শিল্পের জন্য স্বাধীনতা খুব জরুরি।’

তাহসানকে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী আরও বলেছিলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে সে রকমটা হয় না। যে চরিত্র আমাকে টানে, আমি সেটিই করতে পারি। সুপারস্টারদের মতো আমার হাত–পা বাঁধা নেই। সব রকম চরিত্রে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারি, নিরীক্ষা করতে পারি। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমার যে ছবি হিট হয়, সেটি নিয়েই সবাই আলাপ করে। আর ফ্লপ ছবিতে অভিনয়ের প্রশংসা পাই। সব পুরস্কারও ঘরে নিয়ে ফিরতে পারি। দিনশেষে শিল্পীর আত্মতৃপ্তি নিয়ে ঘুমাতে পারি। এই স্বাধীনতা তো সুপারস্টাররা ভোগ করেন না।’

শিল্পীর কল্পনার মতো সুন্দর সব লোকেশনে নিজের গানের মিউজিক ভিডিওর জন্য ফুটেজ নিতেও ভোলেননি তাহসান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শিল্পীর কল্পনার মতো সুন্দর সব লোকেশনে নিজের গানের মিউজিক ভিডিওর জন্য ফুটেজ নিতেও ভোলেননি তাহসান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জানতে চাইলেম, বড় পর্দার এই ‘মান্টো’ অভিনয়ের কোনো টিপস দিয়েছেন কি না। ফোনের ওপাশ থেকে উত্তর এল, ‘মানুষ যত বড় হন, ফলভারে তত বিনয়ী হন। নওয়াজুদ্দিনের ক্ষেত্রে এ কথা শতভাগ খাটে। উনি দিব্যি উনার নিজের অভিনয় করে গেছেন। আমি আমার চরিত্র করেছি। সে রকম কিছু বলেননি।’

‘নো ল্যান্ডস ম্যানে’ তাহসান নিজের চরিত্র নিয়ে কিছু বলেননি এই ছোট ও বড় পর্দার অভিনয়শিল্পী। শুধু বলেছেন, এই ধরনের চরিত্র দেশের বড় পর্দায় দর্শক আগে দেখেনি। একটা মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের মধ্যেই কথা চলছিল। পাশ থেকে একজন দুবার জানান দিল, শট রেডি। তাই বাধ্য হয়েই আলাপের যবানিকা টানতে হলো।