বিনে পয়সায় সিনেমা দেখার সুযোগ

৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেখানো হবে ‘পদ্ম পাতার জল’। ছবি: সংগৃহীত
৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেখানো হবে ‘পদ্ম পাতার জল’। ছবি: সংগৃহীত

বড় পর্দায় সিনেমা দেখার স্মৃতিটা এখনো হয়তো আপনাকে রোমাঞ্চিত করে তোলে। এখনো হয়তো সিনেমা হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আড়চোখে একবার তাকিয়ে থাকেন নায়ক-নায়িকাদের পোস্টারের দিকে। ব্যস্ততা হয়তো আপনাকে জীবন উপভোগের এতটুকু সময় দেয় না। চাইলে হলে গিয়ে টিকিট কেটে পছন্দের সিনেমাটাও দেখতে পারেন না। রাজধানীর এমন সব শৌখিন অথচ ব্যস্ত মানুষের জন্য অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে বিনা মূল্যে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চলছে। গত ডিসেম্বরে মাসব্যাপী হয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে আরেক দফা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার সময় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের দ্বিতীয় তলার প্রজেকশন হলে চলে সিনেমা দেখানো। ভালো পরিবেশে বিনা মূল্যে ছবি দেখার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কীই-বা হতে পারে?

এরই মধ্যে ২৩ জানুয়ারি জাকির হোসেন রাজুর ‘অনেক দামে কেনা’ ছবিটি দেখানো হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি অনন্য মামুনের ‘অস্তিত্ব’ দেখানো হয়েছে। আর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তন্ময় তানসেনের ‘পদ্ম পাতার জল’, ১৩ ফেব্রুয়ারি গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’, ২০ ফেব্রুয়ারি জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’, ২৭ ফেব্রুয়ারি আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’, ৫ মার্চ এ জে মিন্টুর ‘পিতা মাতা সন্তান’, ১২ মার্চ শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকেরের ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ১৯ মার্চ অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’, ২৬ মার্চ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মাসুদ আকন্দের ‘পিতা’ প্রদর্শিত হবে।

বিনা মূল্যে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের এমন উদ্যোগ কেন নিয়েছেন? প্রশ্নটা করতেই বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক মোহাম্মদ আলী সরকার জানালেন, পুরোনো দিনের অনেক সিনেমা মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে আছে এবং ওই সময় যেসব প্রেক্ষাপট ছিল, সেগুলো মানুষের জানা দরকার। মানুষের জানা দরকার, কোন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের সিনেমা এখানে এসেছে। সেগুলো জানানোর জন্যই পুরোনো সিনেমা নতুন করে প্রদর্শন করা। এ ছাড়া মানুষের মধ্যে সিনেমা দেখানোর আগ্রহটা তৈরি করতেও এ উদ্যোগ।

বছরব্যাপী এমন প্রদর্শনী চলবে বলে জানালেন মোহাম্মদ আলী সরকার। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের নিজস্ব ভুবন তৈরি করা হয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার আমরা শো রেখেছি। ৩০০ আসনের হল। চমৎকার পরিবেশ। এখানে সিনেমা দেখলে সবাই আনন্দ পাবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কিছু সিনেমা দেখানোর পরিকল্পনা করেছি। শুধু আমাদের দেশের নয়, বিদেশি অনেক বিখ্যাত সিনেমাও আনার চেষ্টা করছি। সেগুলোও ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে দেখানোর চেষ্টা করব।’