পুরোনো দিনের গানে বুঁদ ঐশী

ঐশী। ছবি: আনন্দ
ঐশী। ছবি: আনন্দ

মুঠোফোনের বদৌলতে গানের ভান্ডার এখন পকেটে পুরে ঘোরে সবাই। ক্ষণে ক্ষণে বদলায় প্রিয় গানের তালিকাটি। মন খারাপ হলে এক গান, ভালো হলে আরেকটা। প্রেম প্রেম ভাব জাগলে এক গান, প্রেম ভেঙে গেলেও গানের চেয়ে বড় মহৌষধ আর নেই। মোদ্দা কথা, একজনের প্লেলিস্ট বা সাম্প্রতিক শোনা গানের নাম শুনলেই আঁচ করা যায় মানুষটি এখন কেমন আছেন। তাই আমরা তারকাদের গানের তালিকা জানতে শুরু করেছি এই নতুন বিভাগ। আজকের আয়োজনে থাকছে সংগীতশিল্পী ঐশীর প্লেলিস্টে থাকা ৫ গানের কথা।

তুমি যে আমার কবিতা: মাহমুদুন্নবী ও সাবিনা ইয়াসমীন

পুরোনো দিনের গান শুনতে নাকি ভীষণ ভালো লাগে ঐশীর। এখন যেমন ঐশী শুনছেন রাজ্জাক–কবরী জুটির দর্পচূর্ণ সিনেমার ‘তুমি যে আমার কবিতা’ গানটি। সুবল দাসের লেখা ও আবু হেনা মোস্তফা কামালের সুর করা এই গানের শিল্পী মাহমুদুন্নবী ও সাবিনা ইয়াসমীন। হঠাৎ করেই পুরোনো এই গান নতুন করে প্লেলিস্টে আসার কারণ হিসেবে ঐশী বলেন, ‘২৩ জানুয়ারি কিংবদন্তি নায়ক রাজ্জাকের জন্মদিন ছিল। ওই দিন এনটিভিতে একটি সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিই, আর এই গানটা করি। এ কারণেই জন্মদিনের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই গানটি শুনে আসছিলাম। গানটির আবেদন কখনোই ফোরানোর নয়।’

ঐ দূর দূর দূরান্তে: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী

এ গানও রাজ্জাক অভিনীত সিনেমা দীপ নেভে নাই–এর। গানটি লিখেছেন মো. মনিরুজ্জামান মনির, সুরকার সত্য সাহা, আর এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।

ইয়ে জো হালকা হালকা সুরুর হ্যায়: নুসরাত ফতেহ আলী খান

উপমহাদেশের সুফি গানের সম্রাট নুসরাত ফতেহ আলী খান। ঐশীর সব সময়কার প্রিয় শিল্পীর তালিকায় থাকে নুসরাত ফতেহ আলী খানের নাম। প্লেলিস্টেও তাই থাকে এই সুফি কিংবদন্তির কোনো না কোনো গান। এখন যেমন ঐশী শুনছেন ‘ইয়ে জো হালকা হালকা সুরুর হ্যায়’। ঐশীর ভাষায়, নিজেকে শিল্পী হিসেবে উন্নত করার জন্যই নুসরাত ফতেহ আলীর গান শোনেন তিনি।

দিলো না দিলো না: শাহ আলম সরকার

ঐশী নিয়মিত লোকগানের চর্চা যেমন করেন, তেমন শোনেনও। বর্তমানে ঐশীর প্লেলিস্টে থাকা প্রথম পাঁচটি গানের একটি হলো শাহ আলম সরকারের লেখা, সুর ও গাওয়া ‘দিলো না দিলো না’ গানটি।

মায়া রে: ঐশী

নিজের প্লেলিস্টে নিজের গাওয়া একটি লোকজ গানও রেখেছেন ঐশী। গত ডিসেম্বরে গানটি প্রকাশ পেয়েছে। মাসুদ পথিকের লেখা ইমন চৌধুরীর সুরে তৈরি এই গানের জন্য ঐশী নাকি এখনো নানাজনের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন।

গ্রন্থনা: শফিক আল মামুন