তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব নাটুয়ার 'মাইক মাস্টার'

‘মাইক মাস্টার’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘মাইক মাস্টার’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের নভেম্বরে নাটকের দল ব নাটুয়া যাত্রা শুরু করে। ১৮ নভেম্বরে ব নাটুয়ার প্রথম প্রযোজনা পথনাটক ‘গুডু’ পথে আসে। মশালের আলোয় নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্টে, তারপরে ক্যাফেটেরিয়ার ঢালে। ওই বছরই ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বিজয় উৎসব ২০১৬–এ নাটকটির প্রদর্শনীর সুযোগ হয়। একই বছর ১৩ ডিসেম্বর ব নাটুয়া তাদের দ্বিতীয় প্রযোজনা মঞ্চনাটক ‘মাইক মাস্টার’ মঞ্চে আনে। নাটকটির এখন পর্যন্ত ২১টি মঞ্চায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২২তম মঞ্চায়ন চলমান। সেই অর্থে ‘মাইক মাস্টার’ নাটকটিও মঞ্চায়নের তিন বছর অতিক্রম করল।

আজ শুক্রবার ‘মাইক মাস্টার’ নাটকের ২২তম প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করবে ব নাটুয়া। বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে নাটক। আবদুল্লাহ আল-মামুনের লেখা ‘মাইক মাস্টার’ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন আবদুল মমিন। নির্দেশক বলেন, ‘২০১৬ সালে ব নাটুয়া আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সংগঠনটি ‘মাইক মাস্টার’ নাটকের নিয়মিত মঞ্চায়ন করে আসছে। এই সময়ের মধ্যে সংগঠনটি জাফর ইকবালের গল্প থেকে ‘নিশিকাব্য’ ও জহির রায়হানের ছোট গল্প থেকে ‘একুশের গল্প’ নাটক মঞ্চে আনলেও ‘মাইক মাস্টার’–এর নিয়মিত মঞ্চায়ন থেমে থাকেনি। এটা এক অর্থে একটা জার্নি, যা আমাদের একটা অর্জন বলেই মনে হচ্ছে।’

একজন আদর্শবান, সৎ রাজনৈতিক কর্মীর জীবনের বঞ্চনা নিয়ে ‘মাইক মাস্টার’। ছবি: সংগৃহীত
একজন আদর্শবান, সৎ রাজনৈতিক কর্মীর জীবনের বঞ্চনা নিয়ে ‘মাইক মাস্টার’। ছবি: সংগৃহীত

‘মাইক মাস্টার’ একক নাটক। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীর, যাঁর বর্তমান পেশা মাইকে রাজনৈতিক সভা-সমিতির ঘোষণা প্রচার করা। সে কাছ থেকে দেখা রাজনীতির নানা অন্ধকার দিকের কথা শুনিয়েছে এই নাটকে। নাটকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুল মমিন। কোরাস চরিত্র আছেন অনাবিল, অন্তরা, রাব্বি, ফারহান, তারিফ, মেহেদী ও সাব্বির।

দলের প্রধান আবদুল মমিন জানান, জহির রায়হানের ছোট গল্প ‘একুশের গল্প’ অবলম্বনে ব নাটুয়ার চতুর্থ প্রযোজনা নাটক ‘একুশের গল্প’। জাতীয় পথনাটক পরিষদের আয়োজনে পথনাট্যোৎসবে পরিবেশনের সুযোগ পায় নাটকটি। আজ তিন বছরপূর্তি উদ্‌যাপন প্রসঙ্গে আবদুল মমিন বলেন, ‘একটু দেরি হয়ে গেল বটে। তবু আমরা উদ্‌যাপন করতে পারছি, এটা আনন্দের খবর। আমরা এই তিন বছর বসে ছিলাম না। আপনারা অবগত আছেন ব নাটুয়া ছাত্র-শিক্ষক সংগঠন। যার জন্ম হয়েছিল শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ কালচারাল ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে। যার ধারাবাহিকতা ছাত্রছাত্রীরা আজও রেখে চলেছে। তারা কলেজের পড়ালেখা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখে থিয়েটার করে যাচ্ছে। এটা সত্যিই আনন্দের বিষয় যে ব নাটুয়া ছোট্ট একটা জায়গা থেকে ক্রমে পূর্ণাঙ্গ থিয়েটারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

‘মাইক মাস্টার’ নাটক দিয়ে ব নাটুয়া নাট্যদলের যাত্রা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘মাইক মাস্টার’ নাটক দিয়ে ব নাটুয়া নাট্যদলের যাত্রা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত