ভালোবাসায় ভরপুর ৫ কে-ড্রামা

>ভালোবাসার নানা রূপ দেখা যায় কোরীয় ধারাবাহিকে। অনেক নাটকের নায়ক–নায়িকারা রাতারাতি তারকা হয়ে গেছেন এসব প্রেমের গল্পে অভিনয় করে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে জনপ্রিয় ও আলোচিত কিছু রোমান্টিক কোরীয় ড্রামা সিরিজ নিয়ে এই প্রতিবেদন। বসন্তের শুরুতে দেখা শুরু করতে পারেন প্রেমময় নাটকগুলো—

গার্ডিয়ান: দ্য লোনলি অ্যান্ড দ্য গ্রেট গড 
৯৩৯ বছর বয়সী এক দেবতা, গবলিন নামে পরিচিত। অন্যদিকে জি ইউন-তাক স্কুলপড়ুয়া এক দুরন্ত কিশোরী। ভালোবাসার গল্পটা কীভাবে জমবে? গোবলিন যেখানে গম্ভীর, স্মার্টফোনই ব্যবহার করতে পারেন না, সেখানে ইউন বেশ চটপটে। কিন্তু ঘটনাক্রমে দুজনের মধ্যে এমন এক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়, যা দেখে শেষমেশ আপনার চোখ ভিজে যেতে পারে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই নাটকের প্রচার শুরু হয়, চলে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ পর্বের ধারাবাহিকের সঙ্গে ৩টি বিশেষ পর্বও রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ পর্বের নাটকটি কে–ড্রামার দর্শকেরা এক বসাতেই দেখে নিতে পারেন। 

মাই লাভ ফ্রম দ্য স্টার 
১৬০৯ সালে পৃথিবীতে আসে ডু মিন-জুন নামের এক এলিয়েন। পৃথিবীতে আটকে যাওয়ায় নিজ গ্রহে আর ফিরে যেতে পারে না মিন। ৪০০ বছর পর প্রেমে পড়ে যায় আধুনিক যুগের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে, যা নিয়েই মূল নাটক। শেষমেশ এই ভালোবাসার গল্পের কী হয় তা জানতে দেখে নিন মাই লাভ ফ্রম দ্য স্টার। ২১ পর্বের এই নাটক ২০১৩ সালে প্রচারিত হয়। কিন্তু এখনো এই নাটক নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। 

গ্যাংনাম বিউটি 
চেহারার কারণে অনেক বছর ধরে উপহাসের শিকার ক্যাং মি-রে। সিদ্ধান্ত নেন প্লাস্টিক সার্জারির। এটা যদিও ভালো ছিল শুরুর দিকে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ধীরে ধীরে ভিন্ন রূপ নেয়। সুন্দরী হওয়াও যে যন্ত্রণার হতে পারে, তা বুঝতে শুরু করেন তিনি। সবাই তাকে ‘গ্যাংনাম প্লাস্টিক সার্জারি মনস্টার’ ডাকতে থাকে। পরিচয় হয় পুরোনো সহপাঠী ডু কিয়্যুং-সিইয়্যুকের সঙ্গে। ভালোবাসার গল্পটার সেখান থেকেই শুরু। ২০১৮ সালের এই ১৬ পর্বের ধারাবাহিকটি জনপ্রিয় রোমান্টিক কে–ড্রামার একটি।

আই অ্যাম নট আ রোবট 
ইয়ো সিউং হো একজন ধনী ব্যক্তি। মানুষের কাছাকাছি এলেই যাঁর অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়। এ জন্য একা একাই সময় কাটান তিনি। একাকিত্ব দূর করতে তাঁর জন্য একসময় একটি রোবট বানানো হয়। যদিও শেষমেশ রোবটটি ইয়ো পান না। রোবটের মতো একই চেহারার একটি মেয়ে তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে থাকে। সিউং তাকে রোবটই ভাবতে থাকেন। ভালোবাসার গল্পের শুরুটা অদ্ভুত হলেও দেখে নিতে পারেন অদ্ভুত এই কোরীয় ড্রামা।

হোয়াটস রং উইথ সেক্রেটারি কিম
বিশাল এক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভাইস চেয়ারম্যান লি ইয়াং-জুন। তাঁর দক্ষ সেক্রেটারি, অর্থাৎ ব্যক্তিগত সচিব কিম মি-সো। নয় বছর কাজের পর সেক্রেটারির পদত্যাগের ঘোষণায় সৃষ্টি হয় ভুল–বোঝাবুঝির। তা নিয়েই চলতে থাকে ঘটনা। এ জুটির মধ্যে যে প্রেম দেখানো হয়েছে, এ পর্যন্ত তা দেখে মুগ্ধ হয়েছে অনেকেই। ১৬ পর্বের এই নাটক ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এখনো রোমান্টিক ঘরানার কে–ড্রামার কথা উঠলে এই নাটকের নাম চলে আসে শুরুর দিকে। 

ভালোবাসার ৫ অ্যানিমে

জাপানি অ্যানিমের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশেও আছে এর বিশাল দর্শক মহল। নানা ঘরানার মধ্যে রোমান্টিক ঘরানার অ্যানিমে তো সব বয়সী দর্শকের কাছেই প্রিয়। ভালোবাসা দিবসের আগে আমরা জেনে নিই আলোচিত ৫ ভালোবাসার অ্যানিমে নিয়ে কিছু কথা।

কিমি নো না ওয়া (ইয়োর নেইম) 
দুই কিশোর–কিশোরী ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের দেহ অদল-বদল হয়ে গেছে। এভাবেই তারা একে অন্যের জীবন কাটাতে থাকে। ঘটনা আস্তে আস্তে কখন ভালোবাসায় মোড় নেয়, তা কেউ-ই বুঝতে পারে না। এখন পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সর্বকালের সেরা অ্যানিমেগুলোর একটি এই কিমি নো না ওয়া। 

মাকোতো শিনকায় পরিচালিত মুভিটির ঝুলিতে রয়েছে একগাদা সম্মাননা। 

হোতারুবি নো মোরি ই
ছোট্ট মেয়ে হোতারু, হারিয়ে যায় বিশাল এক জঙ্গলে। দেখা হয় মুখোশ পরা জিন নামের এক অদ্ভুত যুবকের সঙ্গে। আত্মার ওই পর্বতে জিনই একমাত্র মানুষ। কিন্তু দেবতাদের কথা অনুযায়ী, জিন কোনো মানুষকে স্পর্শ করলেই মারা যাবে। একসময় হোতারু বড় হয়, কিন্তু জিনের বয়স একই থাকে। তাদের মধ্যে জন্ম নেওয়া এক অন্য রকম ভালোবাসার গল্প এগিয়ে যেতে থাকে ভিন্ন দিকে। 

দ্য শেপ অব ভয়েস (ইগা কোয়ি নো কাটাচি) 
শোয়্যা ইশিদা স্কুলের এক উদাসী ছাত্র। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর দুষ্টুমি করে সময় কেটে যায়। নতুন ছাত্রী শোকো নিশিয়ামা বধির, ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। তবু শোকোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে শোয়্যা। কিন্ত এক সময় এই সম্পর্কই ভালোবাসায় বদলে যায়। মুক্তির দুই দিনেই অ্যানিমে ছবিটি আয় করে নেয় প্রায় ২৮ কোটি ইউয়ান। সাফল্যের তালিকায় এই ছবিটির নাম কিমি নো নাওয়ার পরেই ছিল।

ওয়েদারিং উইথ ইউ 
মাকোতো শিনকায়ের আরেক সৃষ্টি ‘ওয়েদারিং উইথ ইউ’। হোদাকা নামের এক কিশোর পালিয়ে চলে যায় টোকিওতে। দেখা হয় হিনা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে। হিনা আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। দুই অদ্ভুত মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে এক নতুন সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের গল্প নিয়েই ওয়েদারিং উইথ ইউ।

ইউর লাই ইন এপ্রিল 
কোরসেই আরিমা নামের একটি মেয়ে শৈশবেই বিখ্যাত হয়ে যায় শিশুশিল্পী হিসেবে। পিয়ানো বাজিয়ে যে খ্যাতি সে অর্জন করে, তা মুহূর্তেই হারিয়ে যায় মায়ের মৃত্যুর পর। দুই বছর পর সে দেখা পায় একটি মেয়ের। ভালোবাসার গল্পও শুরু হয় সেখানে। এই ছবিও সেরা রোমান্টিক অ্যানিমেগুলোর একটি।