ভালোবাসা দিবসের জুটি সার্তিক

লাভ আজকাল ছবিতে সারা আলী খান ও কার্তিক আরিয়ান
লাভ আজকাল ছবিতে সারা আলী খান ও কার্তিক আরিয়ান

‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে বাবা সাইফ আলী খানের পাশে বসে অকপটে বলেছিলেন সারা, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে ডেটে যেতে চান তিনি। তার পর থেকে সারা-কার্তিককে ঘিরে রোমান্সের কথা সর্বত্র। গণমাধ্যম ও ভক্তমহল থেকে এই জুটির নাম এখন দেওয়া হয়েছে ‘সার্তিক’। এবার ভালোবাসা দিবসে এই জুটি একসঙ্গে পর্দায় আসতে চলেছেন ইমতিয়াজ আলীর লাভ আজকাল ছবি দিয়ে। আদৌ কি তাঁরা একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন? না, তাঁরা নিছকই বন্ধু। প্রথম আলোর সঙ্গে এক আড্ডায় বলিউডের রোমান্টিক জুটি সারা-কার্তিক জানালেন প্রেম এবং বন্ধুত্বের কথা। 

প্রেমের সংজ্ঞা...

সারা: ভালোবাসা এমন একটা ব্যাপার, যা শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। এটা একমাত্র অনুভব করা যায়। লাভ আজকাল ছবির মাধ্যমে আমরা প্রেমের সংজ্ঞা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।

কার্তিক: আমিও সারার সঙ্গে একমত। ভালোবাসা একটা অনুভব। এর কোনো সঠিক সংজ্ঞা আমার জানা নেই। আমি তো ভালোবাসার জন্য যেকোনো সীমানা পার করতে পারি। ভালোবাসার মানুষের খুশির জন্য আমি যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারি।

একে অপরের সম্পর্কে…

সারা: কার্তিকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এককথায় দুর্দান্ত। সহশিল্পী হিসেবে ও ভীষণ বোঝদার। কার্তিক আমাকে সব সময় সাহায্য করে এসেছে। আমাকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে এসেছে। এমনকি শটের বাইরেও কার্তিক আমাকে ভীষণ সাহায্য করে। একজন অভিনেতা হিসেবে ওকে আমি সম্মান করি।

কার্তিক: ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে আমি প্রথম সারার কথা শুনি। ওর আত্মবিশ্বাস এবং সাহস আমাকে অবাক করেছিল। সত্যি বলতে সারার মুখে আমার নাম শুনে বেশ ভালোই লেগেছিল। দারুণ খুশি হয়েছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে ওর সঙ্গে কাজ করতেই হবে। অবশেষে আমাদের একসঙ্গে লাভ আজকাল ছবিটা এল। আমাদের জুটিকে সবাই যেমন পর্দায় দেখার অপেক্ষায় আছে। আমরাও তেমন অপেক্ষায় আছি।

গুজব নাকি সত্যি...

কার্তিক: আমাদের প্রেমের খবর যখন চারদিকে চর্চিত, তখন আমরাই একে অপরকে জানতাম না। কোনো সত্যতা ছাড়াই সংবাদ প্রচার হচ্ছে। আসলে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে সারার আমাকে নিয়ে মন্তব্য করার পরপরই নানান গুজব তৈরি হতে থাকে। আমরা কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই গুজবের মাত্রা বেড়ে যেত। এমনকি আমরা ছবি সাইন করার আগেই আমাদের নিয়ে ফ্যান ক্লাব তৈরি হয়। অনেকে মনে করবেন এটা ছবি প্রচারণার একটা কৌশল। কিন্তু সত্যি বলতে ছবি সাইন করার আগে থেকেই আমাদের রোমান্সের খবর উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস রাখি, আমরা সারা জীবন ভালো বন্ধু থাকব।

সারা: আমি কার্তিকের সঙ্গে একমত। আমাদের পরিচয় হওয়ার আগেই আমাদের নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা যেত।

প্রেম এখন শারীরিক, না মানসিক...

কার্তিক: সম্পর্কের ব্যাপারে এ প্রজন্ম অনেক বেশি খোলামেলা। তার মানে এই নয় যে প্রেমে এখন আবেগের কোনো স্থান নেই। প্রেমে আবেগ থাকবেই। যেখানে আবেগ নেই, সেখানে ভালোবাসাও নেই। 

সারা: আমার মনে হয়, প্রেমের পরিভাষা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু প্রেমের তত্ত্ব কখনোই বদলাতে পারে না। আমার মতে, প্রেম মানসিক বা শারীরিক দুটোই হতে পারে। ভালোবাসাকে কোনো আকারে বা ধরন দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। 

ছবির পরে...

সারা: কাজ করতে করতে কার্তিককে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি আমি। ও হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে যা–ই বলুক না কেন তার মধ্যে সত্যটা লুকিয়ে থাকে। দেখে মনে হয় খুব সহজ। আদতে তা নয়। কার্তিক যতটাই হাসি–খুশি, প্রাণবন্ত, ওর মধ্যে অতটাই গভীরতা আছে। 

কার্তিক: সারা অনেক সময় এমন কিছু করে, যা খুবই বিরক্তিকর। এর পরপরই এমন ভালো কিছু কাজ করে যে আমি সব ভুলে যাই। ও ভালো এবং মন্দ কাজ দুটোই একসঙ্গে করতে পারে। তাই আমি বুঝে উঠতে পারি না যে ওর ওপর রাগ করব, না খুশি হব। আমি সারার পেছনে সব সময়ই লেগে থাকি। ওর সঙ্গে অনেক হাসি–ঠাট্টা করি। তবে এ ব্যাপারে সারাও কিছু কম যায় না। 

রাজা–রানি...

সারা: আমি নানান ধরনের বায়োপিক করতে চাই। কিন্তু সঞ্জয় লীলা বানসালি তাঁর ছবিতে আমাকে একবার রানি হওয়ার সুযোগ দিলে খুব খুশি হব। যেকোনো একটা রাজ্যের রানি হলেই হলো।

কার্তিক: আমি সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবির রাজা হতে চাই। সারা রানি, আমি রাজা।