স্মৃতিকাতর শাহরুখ খান- কাজল

‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (থাম্ব)
‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (থাম্ব)

আসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত (একধরনের অটিজম) রেজওয়ান খান রূপী শাহরুখ খানের মুখে বড় পর্দার এই ডায়ালগ দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তী কয়েক বছর এই সংলাপ মানুষের মুখে মুখে ঘুরেছে। করণ জোহর পরিচালিত বড় পর্দার সেই আইকনিক ছবিটির ১০ বছর পূর্ণ হলো। সেই উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে এই ছবিটিকে ঘিরে স্মৃতিচারণা। স্মৃতিকাতর শাহরুখ খান ও কাজল শেয়ার করেছেন এই ছবিকে নিয়ে তাঁদের নানা ঘটনা।

‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির পোস্টার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির পোস্টার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

চেহারা, মেধা ও রসবোধের দুর্দান্ত সমন্বয় নিয়ে বলিউডের বাদশাহের আসনটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছেন শাহরুখ খান। তিনি এই সিনেমা থেকে নিজের একটা ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘করণ জোহর আর কাজল আমাকে আমার জীবনের সেরা ছবিটি উপহার দিয়েছে। এই একটি ছবির ক্ষেত্রে আমি প্রতিদিন নিজের ছবিগুলো দেখতাম। আমার অভিব্যক্তি ঠিক আছে কি না, যাচাই করতাম।’

‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে শাহরুখ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে শাহরুখ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অন্যদিকে কাজল জানিয়েছেন, তাঁর জীবনের সেরা স্মৃতি এই সিনেমার সেটের। এই সিনেমার শুটিং করতে গিয়েই নিউইয়র্কের ক্যালিফোর্নিয়ায় কাজল মেয়ে নাইসাকে প্রথমবার ডিজনিল্যান্ডে নিয়ে ঘুরিয়েছিলেন। সান ফ্রান্সিসকোতে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সূর্যোদয় দেখেছিলেন। তেমনই এক ‘সেরা’ স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে কাজল জানিয়েছেন, কথা নেই বার্তা নেই, এই ছবির সেটে তিনি একদিন ‘ধাম’ করে পড়ে গেলেন।

তাই সেটের সবাই হা হা করে হাসতে শুরু করল। হাসছিলেন আর সবাই সবার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন। যেন দারুণ খুশির কোনো একটা ব্যাপার ঘটেছে। সেই হাসি যেন আর থামেই না। কাজলও অবাক হয়ে পড়ে যাওয়া অবস্থায়ই সবার হাসি দেখছিলেন।

পরিচালকের সঙ্গে মূল অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
পরিচালকের সঙ্গে মূল অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তারপর মিনিট পাঁচেক পর এগিয়ে এলেন মেকাপ আর্টিস্ট মিকি কনট্রাক্টর। কাজলের ভাষায় ‘সে এসে বলল, “বেবি, আমি তোমাকে টেনে তুলছি”। তখন আমি বললাম, ‘থাক, লাগবে না। তোমরা যা করলে! পাঁচ মিনিট ধরে হাসাহাসি আর হাততালি। এখন এসেছ তুলতে? সরো।’

মাই নেম ইজ খান ছবিটি আজ থেকে ১০ বছর আগে বক্স অফিসের অনেক রেকর্ড ভেঙে ২২৩ কোটি রুপি তুলে আনে। ৫৬তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে এই ছবি সে বছর ১০টি মনোনয়ন পায়। আর সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা ও সেরা অভিনেত্রী—মূল চারটি বিভাগের পুরস্কার যুক্ত হয় এই সিনেমার নামের পাশে।