এই নাটকের দর্শকই দর্শক তৈরি করেছে

মোহাম্মদ আলী হায়দার।  ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী হায়দার। ছবি: সংগৃহীত
>

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস অবলম্বনে বটতলার নাটক ক্রাচের কর্নেল–এর ৫০তম প্রদর্শনী আজ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। এ নিয়ে আলাপ হলো নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দারের সঙ্গে।

‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকের ৫০তম প্রদর্শনী। পেছনের যাত্রার কথা শুনতে চাই।
ক্রাচের কর্নেল শুরু করি ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর। শুরু থেকেই মহিলা সমিতিকে কেন্দ্র করে নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। তা ছাড়া ঢাকার বাইরে ও ভারতে প্রদর্শনী হয়েছে। সব জায়গায়ই প্রশংসিত হয়। দর্শকেরা নিজেরা ফেসবুকে রিভিউ লিখেছেন। তাতে প্রচার হয়েছে। এই নাটকের দর্শকই দর্শক তৈরি করেছে। ৫০তম প্রদর্শনী উপলক্ষে একটু আয়োজন আছে। কর্নেল তাহেরের পরিবারের সবাই আসবেন।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান বলেছিলেন, মঞ্চসম্ভাবনা ভেবে উপন্যাসটি লেখা হয়নি। আপনারা কীভাবে মঞ্চসম্ভব করে তুললেন?
আমরা এর আগে আফ্রিকান নাটক ট্রায়াল অব মাল্লাম ইলিয়া নাটকটি করেছিলাম। এটি করতে গিয়ে দেখলাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা–পরবর্তী রাজনীতির সঙ্গে এর খুব মিল আছে। ওই নাটক করার সময়ে আমরা পাঠ্য হিসেবে পড়েছিলাম ক্রাচের কর্নেল উপন্যাসটি। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, এরপরে এই নাটক করব। আমরা শাহাদুজ্জামানকে উপন্যাসটিকে মঞ্চনাটকে রূপান্তর করার কথা বলি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, কিন্তু নাট্যরূপ তো আমি দিই না।’ তারপর আমাদের দল থেকে সৌম্য সরকার ও সামিনা লুৎফা নাট্যরূপ দিল। শুরুর দিকে অনেক দীর্ঘ নাটক ছিল। প্রথমে এটি ছিল পৌনে চার ঘণ্টা। সেটা কেটে প্রথম সন্ধ্যায় করেছিলাম ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। তারপরে আরও ২০ মিনিট কেটে দুই ঘণ্টায় নিয়ে এসেছি।

ওই সময়কালীন অনেক চরিত্রই এখন জীবিত। তাঁরা অনেকে দেখেছেন, প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
নাটক দেখে সবাই একটা কথা বলে, আপনাদের সাহস আছে। আপনারা ঠিকঠাক বাংলাদেশের ইতিহাস বলার চেষ্টা করেছেন। সেই সময়ের অনেকে দেখেছেন, যেমন—কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন, তাঁর ঘনিষ্ঠজন হাসানুল হক ইনু, কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের। নাটকটি দেখে সবাই খুব আবেগী হয়ে যান। এ ছাড়া সেই সময়ে যাঁরা তাঁর সঙ্গে আর্মিতে ছিলেন, তাঁরাও অনেকে নাটকটি দেখেছেন। একবার ১২ জন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এসেছিলেন নাটকটি দেখতে। আমাদের দেখে বলেছিলেন, ‘আমরা আপনাদের একটা স্যালুট দিই সবাই।’