১৭ দিন দৈনিক ১৯ ঘণ্টা করে কাজ করেছি

সিয়াম আহমেদ।  ছবি: প্রথম আলো
সিয়াম আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো
>

সোমবার শেষ হলো শান ছবির শুটিং। মুক্তির অপেক্ষায় বিশ্বসুন্দরী ও পাপ–পুণ্য। শুটিং চলছে ইত্তেফাক ও অপারেশন সুন্দরবন ছবির। এরই মধ্যে ঢুকে পড়লেন অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন নামের আরেকটি ছবিতে। একেবারে আগাগোড়া ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী সিয়াম আহমেদ। আলাপে উঠে এল সেসব কথা।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির শুটিং কবে শুরু হচ্ছে?
আগামী মাসের ১৩ তারিখে শুটিং শুরু করার কথা আছে। লঞ্চে প্রায় দুই সপ্তাহ টানা শুটিং হবে। এরপর ঢাকায় শুটিং।

রাতুল চরিত্রটি নিয়ে অনুভূতি কেমন?
এটি অবিশ্বাস্য। কিশোরবেলায় বইটি পড়ার সময় মনে হয়নি এই চরিত্রটি আমি। এই ছবিতে কাজের মাধ্যমে হয়তো একটা প্রজন্মের কাছে রাতুল হয়ে থাকার সুযোগ হলো।

প্রস্তুতি কেমন নিচ্ছেন?
প্রায় দুই সপ্তাহ হলো ছবিটি নিয়ে কর্মশালা শুরু হয়েছে। আগে সময় দিতে পারিনি। শুটিংয়ের আগে যোগ দেব। এর আগে উপন্যাস ও চিত্রনাট্যটি কয়েকবার পড়েছি। চরিত্রটি করা আমার জন্য একটা দায়িত্বের জায়গাও। সে কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত হচ্ছি।

আর কী কী ছবির শুটিং চলছে?
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বপ্নবাজী ছবির শুটিং শুরু হবে। অপারেশন সুন্দরবন ছবির দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়ে গেছে। মার্চ মাসের শেষের দিকে ইত্তেফাক ছবির কাজ শুরু হবে।

শোনা যাচ্ছে কলকাতার ছবিতে কাজ করবেন?
বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য পেয়েছি। বিদেশি শিল্পী না ভেবে তাঁদের দেশের শিল্পীদের মতোই চিত্রনাট্যে যদি আমাকে নিয়ে ভাবেন, তাহলে অবশ্যই কাজ করব। এখন চিত্রনাট্যগুলো পড়ছি আর চরিত্রের জায়গাগুলো দেখছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কলকাতার ছবিতে কাজ করব।

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে টানা কাজ করছেন। চরিত্রগুলো তুলে আনা সম্ভব হচ্ছে?
শিল্পীকে সময় না দিলে চরিত্র সম্পূর্ণ বিকশিত না–ও হতে পারে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এক চরিত্র ছেড়ে আরেক চরিত্র করতে হচ্ছে। পরিচালকেরা ফেঁসে গেছেন। কাজ শেষ না করলে সঠিক সময়ে শুটিং শেষ হবে না। এখন কিছু করার নেই।

নিজের ঝামেলা হচ্ছে না?
কষ্ট হচ্ছে। ১৭ দিন দৈনিক ১৯ ঘণ্টা করে কাজ করেছি।